দুর্নীতির বিরুদ্ধে Gen-Z-র লড়াই। সেই আন্দোলনে ইতিমধ্যেই পতন হয়েছে নেপাল সরকারের। প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়েছেন কে পি ওলি। এবার একেবারে বাংলাদেশের কায়দায় অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর্ব শুরু হয়েছে নেপালে। দুর্নীতি-মুক্ত দেশ গড়তে কাকে মাথায় রেখে অন্তর্বর্তী সরকার গঠন হবে, সেটাই এখন সবথেকে বড় প্রশ্ন। প্রাথমিকভাবে সামনে এসেছিল নেপালের সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি সুশীলা কারকির নাম। কিন্তু ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ফের উঠে এল নতুন নাম। কুলমান ঘিসিং।
আরও পড়ুনঃ বেলা ১২টা ২০ মিনিট; বিপাকে যাত্রীরা! থমকে গেল মেট্রো পরিষেবা
নেপালের ইলেকট্রিসিটি অথরিটি-র প্রাক্তন এক্সিকিউটিভ কুলমান ঘিসিং। বয়স ৫৪। নেপালের দীর্ঘদিনের বিদ্যুতের সমস্যা মেটানোয় কুলমানের ভূমিকা মনে রেখেছে নেপালবাসী। ভারতের জামশেদপুর থেকে পড়াশোনা করেছেন তিনি। জামশেদপুরের রিজিওনাল ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজি থেকে ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং পড়েছেন তিনি। পরবর্তীতে নেপালের ত্রিভুবন ইউনিভার্সিটি থেকে পাওয়ার সিস্টেম ইঞ্জিনিয়ারং নিয়ে স্নাতকোত্তর উত্তীর্ণ হন তিনি।
১৯৯৪ সালে নেপালের ইলেকট্রিসিটি অথরিটিতে যোগ দেন কুলমান ঘিসিং। ২০১৬ সালে ওই প্রতিষ্ঠানে ম্যানেজিং ডিরেক্টরের পদ পান তিনি। সেই সময় নেপালের ঘণ্টার পর লোডশেডিং হত। প্রায় প্রতিদিন ১৮ ঘণ্টা করে পাওয়ার কাট থাকত সে দেশে। সেই অবস্থার উন্নতি ঘটানোর জন্য কুলমানের ভূমিকার কথাই উল্লেখ করেন সবাই।
আরও পড়ুনঃ কলকাতা পেরিয়ে দেখে আসুন হুগলি জেলার বনেদি বাড়ির পুজো, রইল বাছাই করা কিছু পুজোর হদিস
২০২০-তে কুলমানকে পদ থেকে সরানো হলেও ২০২১-এ ফের ওই পদে ফেরেন তিনি। কিন্তু গত মার্চ মাসে আচমকা সরিয়ে দেওয়া হয় তাঁকে। কেপি শর্মা ওলির সরকার এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর পদ থেকে তাঁকে সরিয়ে দেন। অভিযোগ ওঠে, রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নিয়েই সরানো হয়েছে তাঁকে। এই পরিস্থিতিতে