‘যারা এই হামলা করেছে, তাদের কল্পনাতীত সাজা দেওয়া হবে।’ প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর পর বিহারের মধুবনী থেকে হুঙ্কার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। জঙ্গিদের খুঁজে খুঁজে বের করে উচিত শিক্ষা দেওয়ার দিলেন বার্তা।
এদিন বিহারের মধুবনীতে পঞ্চায়েতি রাজ মঞ্চে বক্তব্য রাখতে ওঠেন প্রধানমন্ত্রী। পহেলগামের নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বক্তব্য শুরু করেন। বিহার নিয়ে, দেশের উন্নয়ন ও ভবিষ্যৎ নিয়ে কথা বলার পরই স্ট্রেট ঢোকেন পহেলগাম প্রসঙ্গে। ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে সেখানে, জখম একাধিক। তাঁদের পাশে ১৪০ কোটি দেশবাসী রয়েছে, একথা জানিয়ে দেন।
আরও পড়ুন: এ বার করাচি উপকূলে ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার তোড়জোড় পাকিস্তানে! কড়া নজর রাখছে ভারত
বিহারের মধুবনিতে দাঁড়িয়ে সন্ত্রাসের কোমড় ভেঙে দেওয়ার হুঙ্কার দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সন্ত্রাসের ক্ষেত্রে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি নিয়েছে কেন্দ্র। মোদীর বক্তৃতার ১ ঘন্টার পরেই গুজরাট উপকূল থেকে মিসাইল ছেড়েছে আইএনএস সুরাট।
পাহাড়ে উঠছে সেনার বিশাল বাহিনী। সঙ্গে রয়েছেন সেনার উচ্চ পদস্থ আধিকারীকরা, যাতে যে কোনও পরিস্থিতিতে কোনও রকম সিদ্ধান্ত নিতে অপেক্ষা না করতে হয়। বৈসরন ভ্যালিকে চারপাশ থেকে ঘিরে ফেলতে চাইছে সেনা। চলছে ৪ জঙ্গি এবং তাঁদের সহকারীদের খুঁজে বের করার প্রাণপণ চেষ্টা। অনুমান আজকের মধ্যেই আসতে পারে বড় সাফল্য।
ওদিকে ভারতের হুঙ্কারে ভয়ে কাঁপছে ইসলামাবাদ। সীমান্তবর্তী এয়ারবেসে মোতায়েন করা হয়েছে প্রায় ২০টি যুদ্ধ বিমান। ২ দিনের জন্য সেনাকে ‘হাই ফায়ার এলার্ট’-এ রেখেছে পাকিস্তান। বাতিল হয়ে গিয়েছে সিন্ধু জলচুক্তি। ভারতে বসবাসকারী পাক কূটনীতিকদের অবৈধ ঘোষণা করে ফিরে যেতে বলা হয়েছে পাকিস্তানে। ২৭ এপ্রিলের মধ্যে ভারতে বসবাসকারী সকল পাকিস্তানিকে ফেরত যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ভারতীয়দের পাকিস্তান থেকে ফিরে আসার কথা বলা হচ্ছে।
আচ্ছা যদি সত্যিই এবার প্রত্যাঘাত করে ভারত, যদি যুদ্ধ হয় ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে? তাহলে ভারতের সামনে কতক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকার ক্ষমতা রয়েছে পাকিস্তানের। পাক ফৌজের থেকে কত গুণ শক্তিশালী ভারত? জানেন? এই প্রতিবেদনে রইল বিস্তারিত।
গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার রিপোর্ট ২০২৫ অনুসারে, সামরিক শক্তির দিক থেকে যে সব দেশ সবচেয়ে বেশি শক্তি ধরে সেই তালিকায় ৪ নম্বরে রয়েছে ভারত। আমেরিকা, রাশিয়া, চিনের পরেই রয়েছে ভারত। সেই জায়গায় তালিকায় প্রথম ১০-এর মধ্যেও নেই পাকিস্তান। তাঁরা রয়েছে ১২ নম্বরে।
বর্তমানে ভারতের কাছে সেনা রয়েছে ১৪ লক্ষ। সেখানে পাক সেনার মোট সংখ্যা ভারতের অর্ধেকও নয়, মাত্র ৬ লক্ষ ৫৪ হাজার। খুব খারাপ পরিস্থিতিতে কারও উপর ভরসা না করে ৩৭ দিন যুদ্ধ করতে পারে ভারত। সেখানে পাকিস্তান টেনেটুনে যুদ্ধ করতে পারে ১৭দিন।
ভারতীয় বায়ুসেনার কাছে মোট বিমান আছে ২ হাজার ২২৯টি। এর মধ্যে ৫১৩টি যুদ্ধ বিমান। এছাড়াও আছে ৮৯৯টি হেলিকপ্টার। রয়েছে ৮০ টি অ্যাটাকিং হেলিকপ্টার। পাক বায়ু সেনার কাছে মোট যুদ্ধ বিমান আছে ১ হাজার ৩৯৯টি। এর মধ্যে যুদ্ধ বিমান ৩২৮টি। রয়েছে ৩৭৩টি হেলিকপ্টার। রয়েছে ৫৭ টি অ্যাটাকিং হেলিকপ্টার।
আরও পড়ুন: ‘জল বন্ধ হলে তা যুদ্ধ হিসাবে দেখা হবে’! ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য বন্ধ, বলল পাকিস্তান
ভারতের কাছে আছে ৪ হাজার ২০১ ট্যাঙ্ক। আছে ১৪৮,৫৯৪টি গাড়ি। ১০০টি সেলফ প্রপেল্ড আর্টিলারি। ৩,৯৭৫টি টোড আর্টিলারি। ২৬৪টি এমএলআরএস রকেট আর্টিলারি। সেখানে পাকিস্তানের কাছে আছে ২ হাজার ৬২৭টি ট্যাঙ্ক। আছে ১৭,৫১৬টি গাড়ি। ৬৬২টি সেলফ প্রপেল্ড আর্টিলারি। ২,৬২৯টি টোড আর্টিলারি। ৬০০টি এমএলআরএস রকেট আর্টিলারি।
ভারতের কাছে আছে ২৯৩ অ্যাক্টিভ নৌবহর। পাকিস্তানের কাছে আছে ১২১ অ্যাক্টিভ নৌবহর। ভারতের কাছে আছে ১৮ সাবমেরিন, ৩ নিউক্লিয়ার সাবমেরিন। পাকিস্তানের কাছে ৮টি সাবমেরিন থাকলেও নেই কোনও নিউক্লিয়ার সাবমেরিনই।