Wednesday, 30 April, 2025
30 April, 2025
HomeদেশJNU: JNU-তে বাম ঐক্য হলো না কেন! দ্বন্দ্ব চরমে

JNU: JNU-তে বাম ঐক্য হলো না কেন! দ্বন্দ্ব চরমে

প্রকাশ্যেই কাদা ছোড়াছুড়ি শুরু হয়েছে। লিবারেশনের ছাত্র সংগঠন আইসা প্রেস বিবৃতি দিয়ে অভিযোগ করেছে, এসএফআই জেএনইউ–তে সুবিধাবাদী, সংকীর্ণ রাজনীতি করেছে।

সিপিএম, সিপিআইএমএল (লিবারেশন), সিপিআই–র ছাত্র সংগঠনের মধ্যে অনৈক্যের কারণে যে প্রায় এক দশক পরে ফের জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের (জেএনইউ) ছাত্র সংসদে এবিভিপি মাথাচাড়া দিতে পেরেছে— এ নিয়ে বামেদের মধ্যে বিতর্ক নেই। কিন্তু বাম ছাত্র সংগঠনগুলির মধ্যে সমঝোতা না–হওয়ার দায় কার? এ নিয়েই প্রকাশ্যেই কাদা ছোড়াছুড়ি শুরু হয়েছে। লিবারেশনের ছাত্র সংগঠন আইসা প্রেস বিবৃতি দিয়ে অভিযোগ করেছে, এসএফআই জেএনইউ–তে সুবিধাবাদী, সংকীর্ণ রাজনীতি করেছে।

আরও পড়ুন: নিজেদের মধ্যেই মারামারি তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে; ক্ষুব্ধ মেয়র

আইসা–র তরফে প্রসেনজিৎ কুমার ও নেহার বক্তব্য, ‘এসএফআই পৃথক জোট তৈরি করেছিল। যে জোটের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়েই প্রশ্ন তৈরি হয়েছিল। আম্বেদকরের নাম ব্যববার করার মতো সুবিধাবাদী রাজনীতি করেছে এসএফআই। এর জন্যই প্রেসিডেন্ট পোস্টে এসএফআই মাত্র ৯১৮ ভোট পেয়েছে।’ যদিও এসএফআই–র সাধারণ সম্পাদক ময়ুখ বিশ্বাসের বক্তব্য, ‘আরএসএস–কে ঠেকাতে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ে এসএফআই, আইসা একসঙ্গে লড়াই করছে। হায়দরাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়–সহ একাধিক কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে এসএফআই অন্য ছাত্র সংগঠনের সঙ্গে সমঝোতা করে এবিভিপিকে হারিয়েছে। জেএনইউতে আইসা গোয়ার্তুমি করেছে। বামেদের মধ্যে ঐক্য হলে এবিভিপি ক্যাম্পাসে ঢুকতে পারত না।

জেএনইউতে এ বার এসএফআই ও এআইএসএফ একজোট হয়েছিল, অন্যদিকে আইসা, ডিএসএফ জোট বেঁধেছিল। বাম ছাত্রদের মধ্যে এই বিভাজনের ফলে জয়েন্ট সেক্রেটারি পোস্টে এবিভিপি মাত্র ৮৫ ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয়েছে। এবিভিপি কেন্দ্রীয় প্যানেলের একটি পদে জয়ী হলেও একক শক্তিতে ৫০ শতাংশের েবশি কাউন্সিলার পদে জয়ী হয়েছে।

আরও পড়ুন: বাম-মুখে ‘গোঁয়ার্তুমির’ আত্মসমালোচনা; জেএনইউয়ের পর ‘যদুবংশ’ই লক্ষ্য এবিভিপি-র

এবিভিপি–র জাতীয় সাধারণ সম্পাদক বীরেন্দ্র শোলাঙ্কি ঘোষণা করেছেন, ‘জেএনইউতে জাতীয়তাবাদের নতুন সূর্যোদয় হয়েছে। নতুন ইতিহাস তৈরি হয়েছে। তথাকথিত লাল দুর্গে ভাঙন ধরেছে।’ কেন্দ্রে নরেন্দ্র মোদী সরকার ক্ষমতায় আসার পরে ২০১৬ সালে জেএনইউ–তে এবিভিপি জয়েন্ট সেক্রেটারি পোস্টে জয়ী হয়েছিল। পরবর্তী সময়ে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল জেএনইউ ক্যাম্পাস। জেএনইউ–র ছাত্রদের দেশ বিরোধী তকমা দেওয়া হয়েছিল। জেএনইউ–তে রবিবার ফের গেরুয়া ঝান্ডা ওড়ায় সব বাম সংগঠন প্রমাদ গুণছে।

এসএফআই–র তীব্র সমালোচনা করেও দীপঙ্কর ভট্টাচার্যের দলের ছাত্র নেতৃত্ব কবুল করেছেন, ‘জেএনইউতে এবিভিপি–র জয় ছাত্রদের হতচকিত করেছে। এবিভিপি–র এই চ্যালেঞ্জকে মোকাবিলা করার জন্য সমস্ত প্রগতিশীল সংগঠনের একজোট হওয়া প্রয়োজন।’ ময়ুখের বক্তব্য, ‘জেএনইউ–র এই ফলাফল থেকে সবার শিক্ষা নেওয়া উচিত।’ ২০০০ সালে এবিভিপি শেষবার জেএনইউ–র ছাত্র সংসদের প্রেসিডেন্ট পদে জয়ী হয়েছিল।

এই মুহূর্তে

আরও পড়ুন