মদ খাওয়ার জন্য স্বামীরা চাপ দিচ্ছেন মহিলাদের ওপর। মদ খাওয়ার জন্য তাঁদের লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা তুলে দেওয়ার জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ মহিলাদের। এর প্রভাব পড়ছে সংসারে এবং সন্তানদের ওপরেও। তাই গ্রামে মদ–গাঁজা–সহ সব ধরনের মাদক বন্ধ করার দাবিতে পথে নামলেন পুরুলিয়ার চারটি গ্রামের মহিলারা।
আগেই অবৈধ মদের ঠেক বন্ধ করার দাবি জানিয়ে সরব হয়েছেন একাধিক গ্রামের মহিলারা। এ বার সেই পথে হাঁটলেন পুরুলিয়া–১ ব্লকের চিড়কা, গাড়াফুসড়, কাঁটাবেড়া ও পটমপুটরা গ্রামের মহিলারা। তাঁদের দাবি, গ্রামে সব ধরনের মাদক বিক্রি বন্ধ করে দিতে হবে।
আরও পড়ুন: ‘OYO বন্ধ; ‘খেলা’ শুরু চলন্ত ট্রেনেই
পুরুলিয়ার ওই গ্রামগুলির মহিলাদের অভিযোগ, এখন তাঁদের সম্মান নিয়ে বসবাস করা দায় হয়ে দাঁড়িয়েছে। স্বামীরা মদ খেয়ে এসে নানা রকম অশান্তি করছে। সেই কারণে ‘মাতাল হটাও, মহিলাদের সম্মান বাঁচাও’, এই দাবি নিয়ে বুধবার পথে নামেন পুরুলিয়ার ওই চারটি গ্রামের মহিলারা। গ্রামে মদ–গাঁজা বন্ধ করতে হবে বলেও স্লোগান তোলা হয়। এই দাবি নিয়ে হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে চিড়কা গ্রামের আমবাগান থেকে মিছিল করেন তাঁরা।
কী কারণে এই প্রতিবাদ? তার ব্যাখ্যা দিয়েছে ওই মহিলারা। তাঁদের অভিযোগ, গ্রামে অবৈধ মদের ঠেক চলছে। এর জেরে অশান্তি হচ্ছে সংসারে। তাঁরা বলেন, ‘আমরা নেহাতই দিন আনা দিন খাওয়া পরিবারের সদস্য। দিনের স্বল্প রোজগারের অনেকটাই যদি মদে চলে যায় তাহলে সংসার চলবে কী করে?’ তাঁদের অভিযোগ, মদ সংসারে প্রভাব ফেলছে। কোনওদিন কাজ না পেলে তাঁদের স্বামীরা মদ খেতে টাকার দাবিতে তাঁদেরকে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকাও তুলে দিতে চাপ দিচ্ছে। না দিলে অশান্তি হচ্ছে। এর প্রভাব পড়ছে সন্তানদের মধ্যে। এর অবসান চেয়ে তাঁরা সকলে মিলে পথে নামতে বাধ্য হয়েছেন।
আরও পড়ুন: আজ ২০ মার্চ, অর্থভাগ্যে চমক ৬ রাশির
ওই এলাকায় যে অবৈধভাবে মদ বিক্রি হচ্ছে তা কার্যত স্বীকার করে নিয়েছে জেলা আবগারি দপ্তর। এই দপ্তরের এক আধিকারিক জানান, ওই গ্রামগুলিতে অবৈধ মদের ঠেক নিয়ে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। এই নিয়ে উপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলেও আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।