Friday, 12 September, 2025
12 September
বাংলা কাউন্টডাউন টাইমার
বঙ্গবার্তা
Homeউত্তরবঙ্গCoochbehar: হেঁশেল ঠেলে মাথাভাঙ্গার মহিলারা মেতে উঠেছেন দুর্গাপুজো আরাধনায়

Coochbehar: হেঁশেল ঠেলে মাথাভাঙ্গার মহিলারা মেতে উঠেছেন দুর্গাপুজো আরাধনায়

এবছর ১৪তম বর্ষে পড়ল ভেলাকোপা মহিলা দুর্গোৎসব কমিটির পুজো।

অনেক কম খরচে ভিডিও এডিটিং, ফটো এডিটিং, ব্যানার ডিজাইনিং, ওয়েবসাইট ডিজাইনিং এবং মার্কেটিং এর সমস্ত রকম সার্ভিস পান আমাদের থেকে। আমাদের (বঙ্গবার্তার) উদ্যোগ - BB Tech Support. যোগাযোগ - +91 9836137343.

সোমেন দত্ত, কোচবিহারঃ

এক বছর ধরে এই সময়টার জন্য অপেক্ষা করে থাকেন আপামর বাঙালি। এক মাসেরও বেশি সময় ধরে চলে প্রস্তুতি। মাথাভাঙ্গা-১ ব্লকের গোপালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ভেলাকোপাতেও ছবিটা এক। হেঁশেল ঠেলে, কাজ সামলে এলাকার মহিলারা মেতে উঠেছেন দুর্গাপুজো-র আরাধনায়। বেরিয়ে পড়েছেন চাঁদা তুলতে। পাশাপাশি মণ্ডপ তৈরির কাজের তদারকিও করছেন।

এবছর ১৪তম বর্ষে পড়ল ভেলাকোপা মহিলা দুর্গোৎসব কমিটির পুজো। প্রতিমা বায়না থেকে শুরু করে প্রশাসনিক সব কাজের দায়িত্বেও রয়েছেন মহিলারাই। পাড়ার সবাই একসঙ্গে মিলে পুজোর আয়োজন করেন।

আরও পড়ুনঃ জ্বলছে প্রতিবেশী নেপাল, অশান্তির আঁচ কলকাতার সোনাগাছিতে; উদ্বেগে সোনাগাছির নেপালি যৌনকর্মীরা

পুজো কমিটির সম্পাদক বাসন্তী বর্মন বললেন, ‘পুজোর এক মাস আগে পাড়ার মহিলাদের নিয়ে একটি বৈঠক করা হয়। সেই বৈঠকে আলোচনার মাধ্যমে পুজো কমিটি তৈরি করা হয়। তারপর কমিটির সদস্যরা মিলে বাজেট তৈরি করেন। শেষে সদস্যদের মধ্যে বিভিন্ন দায়িত্ব বণ্টন করে দেওয়া হয়।’

প্রত্যেকবছর এই দুর্গোৎসব কমিটির পুজো হত ভেলাকোপা সুস্বাস্থ্যকেন্দ্রের মাঠে। কিন্তু এবছর সেখানে বৃষ্টির কারণে জল জমে থাকায় পুজোর স্থান পরিবর্তন করা হয়েছে। তাহলে এবার পুজোর প্যান্ডেল কোথায় করা হবে, তা নিয়ে চিন্তায় পড়ে গিয়েছিলেন কমিটির সদস্যরা। শেষে স্থানীয় বাজারের পাশের একটি জায়গা বেছে নেওয়া হয়েছে। সেখানেই পুজো করা হবে।

পুজো কমিটির সভাপতি সবিতা বর্মনের কথায়, ‘এবছর কাল্পনিক মন্দিরের আদলে আমাদের পুজোমণ্ডপটি তৈরি করা হচ্ছে। মণ্ডপের পাশাপাশি থাকছে অত্যাধুনিক আলোকসজ্জা।’ অষ্টমীতে সাধারণ মানুষের মধ্যে প্রসাদ বিতরণ করা হয়।

আরও পড়ুনঃ ‘কঠোর নজরদারি চলবে’, রাস্তার দখল নিল সেনা

পুজো কমিটির কোষাধ্যক্ষ শেফালি বর্মন জানালেন, তাঁদের পুজোর বাজেট খুব বেশি নয়, দুই লক্ষ টাকা ধরা হয়েছে। তাঁর কথায়, ‘আমরা প্রতিদিন বাড়ির সব কাজ সেরে চাঁদা তুলতে বেরিয়ে পড়ি। এলাকার মানুষ অনেক সাহায্য করেন।’

পাড়ার ছোট-বড় সবাই একসঙ্গে মিলে পুজো উপভোগ করেন। পাড়ার সবাই বছরভর এই পুজোর জন্য অপেক্ষা করে থাকেন। আর তো মাত্র কয়েকটা দিন। তারপরই মায়ের আরাধনায় মেতে উঠবেন ভেলাকোপার আট থেকে আশি।

এই মুহূর্তে

আরও পড়ুন