পুরীর সমুদ্রসৈকত সংলগ্ন এলাকায় ১৯ বছরের এক কলেজ ছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠল। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার, তবে আঘাতের ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে না পারায় তরুণী অভিযোগ দায়ের করেন সোমবার সন্ধ্যায়। ইতিমধ্যেই তিন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদের খোঁজে চলছে তল্লাশি।
আরও পড়ুনঃ ভাদ্রে রেঁধে আশ্বিনে খাওয়া! অরন্ধন উৎসবে লুকিয়ে অজানা কাহিনি
পুলিশ জানিয়েছে, শনিবার দুপুরে ওই ছাত্রী তাঁর এক পুরুষ সঙ্গীর সঙ্গে ব্রহ্মগিরি থানার অন্তর্গত বলিহারচণ্ডী মন্দিরের কাছাকাছি এলাকায় গিয়েছিলেন। সেখানে কিছু স্থানীয় যুবক তাঁদের গোপনে ছবি ও ভিডিও তোলে এবং পরে সেই ছবি দেখিয়ে টাকার জন্য চাপ সৃষ্টি করে।
পুরী জেলার পুলিশ সুপার প্রতীক সিংহের কথায়, ‘‘অভিযোগকারিণী এফআইআরে উল্লেখ করেছেন, টাকা না দেওয়ায় যুবকদের মধ্যে দু’জন তাঁকে ধর্ষণ করে।’’ অন্য অভিযুক্তরা সেই সময় তরুণীর সঙ্গীর হাত বেঁধে রাখে।
ধর্ষণের ঘটনার পরে মানসিক আঘাত কাটিয়ে উঠতেই দেরি হয় অভিযোগ দায়ের করতে। পরে থানায় গিয়ে লিখিত অভিযোগ জানান ওই ছাত্রী। তাঁকে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে এবং মেডিক্যাল পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে বলে জানান পুলিশ সুপার।
আরও পড়ুনঃ ১২টি দোকান পুড়ে ছাই! আগুন গিলে খেল সন্তোষপুর স্টেশন চত্বর
প্রসঙ্গত, গত ১৫ জুন গঞ্জামের গোপালপুর সমুদ্রসৈকতে একই রকম একটি ভয়ঙ্কর ঘটনা ঘটেছিল। সেখানেও এক তরুণীকে গণধর্ষণ করা হয় এবং মোট ১০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল।
সেই সময় এক নির্জন স্থানে বসে বন্ধুর সঙ্গে গল্প করছিলেন নির্যাতিতা। তখনই তাঁদের উপর চড়াও হয়েছিল একদল যুবক। তরুণীর বন্ধুকে মারধর করে হাত-পা বেঁধে ফেলে রাখা হয়েছিল। তারপরে তরুণীকে তুলে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করা হয়েছিল বলে অভিযোগ ওঠে। সেই একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি পুরীতে। স্বাভাবিকভাবেই নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে সৈকতশহরে।