
কুশল দাসগুপ্ত, (শিলিগুড়ি)

সানডে হাট, রবিবারের সেরা আকর্ষণ শিলিগুড়িতে। পাহাড়ের জিনিস সমতলে পাওয়া যায়, এবং পাওয়া যাবে এটা ঠিক করেছিলেন রাজ বাসুই। পর্যটনের গাভাস্কার বলা হয় তাকে, নতুন দিশা দেখিয়েছেন দক্ষিণবঙ্গ এবং উত্তরবঙ্গের পর্যটনের।

তিনি নিজেই জানালেন জঙ্গলে বসে পর্যটন হয়, সন্ধ্যাবেলা আদিবাসীর নাচে পর্যটন হয়, এবং বনে বসে চা খাওয়াতে ও পর্যটন হয়। এটা প্রথম আমি অনুভব করেছিলাম, আমি নিজেই গর্ববোধ করছি না, তবে এটা সত্যি এই বাস্তব আমি অনুভব করেছিলাম প্রথমে। জানালেন রাজ বাসু।

পর্যটনটাকে তিনি যে কোথায় নিয়ে গেছেন তিনি বলতে পারবেন। এত সুন্দর পরিকল্পনা, বছরের পর বছর ধরে তার এই সফলতা, এবং তার এই পরিশ্রম সত্যিই দেখবার মতো। তিনি নিজেই জানিয়েছেন আধুনিক পর্যটন তো সবাই চেনে সবাই জানে, কিন্তু গ্রামে এবং আদিবাসীদের মধ্যেও যে জিনিস লুকিয়ে আছে, সেটা আমি হয়তো প্রথম বুঝতে পেরেছিলাম। রাজ বাসু জানালেন উত্তরবঙ্গের পর্যটনকে জাগিয়ে তুলেছিলাম আমি। এটা আমি গর্ব করে বলতে পারছি না, তবে আমার আগে কিন্তু কেউ এই ব্যাপারটা বোঝেনি। আমারই পরিকল্পনার ফসল এই সানডে হাট। এখানে আপনি পাবেন পাহাড়ে স্কোয়াস, বেগুন এবং কড়াইশুঁটি।

আপনাকে এনে দেওয়া হবে করকনাথ মুরগি, যা সম্পূর্ণভাবে কালো। এবং আপনি পাবেন পাহাড়ি ডিম। পাবেন ভুটানের কমলা এবং পেয়ারা। যারা এগুলো নিয়ে আসেন তারা নিজেরাই উদ্যোক্তা। আমি শুধু রাস্তা দেখিয়েছি। আমার ইচ্ছা, আমার তৈরি করা সানডে হাট বিশ্বের দরবারে সমাদৃত হোক। তবেই আমি আমার সফলতাকে দেখতে পারব। সারা বছরই আমি বাইরে বাইরে থাকি, তাই এই সানডে হাটে ঠিকমত আসতে পারি না। তবে আমার আমন্ত্রণে যারা যারা এসেছেন, তারা সবাই কিন্তু বাহবা দিয়েছেন। আর এটাই আমার কাছে সাফল্য। জানালেন রাজ বাসু