
কুশল দাসগুপ্ত, (শিলিগুড়ি)
তার পেশা পুরোহিত, পূজা করা। কিন্তু আসলে তিনি করেন সমাজসেবা।শিলিগুড়ির হাকিমপাড়ার সুকুমার ভাদুড়ীর জীবন দর্শন একেবারেই আলাদা। সম্প্রতি বাংলাদেশের ঘটনাগুলি নিয়ে তার আক্ষেপ, হিন্দুদের উপর যেভাবে অত্যাচার করা হচ্ছে একেবারেই ঠিক হচ্ছে না। কত বড় বড় মনীষী আছেন, যারা নির্বিধায় বলে চলেন সবার উপরে মানুষ সত্য তাহার উপরে নাই। অথচ সেটাই আমরা ভুলে যাচ্ছি, অত্যাচার করছে একে অন্যকে। ভুলে যাচ্ছে মনুষত্ব, কিন্তু কি হবে এগুলো করে, হিংসা এবং বিদ্বেষ নিয়ে কি বাঁচা যায় ? সুকুমার ভাদুরি আরো জানালেন ভিন্ন ধর্মের হলেও, একজন মানুষ আরেকজন মানুষকে সম্মান করবে বিশ্বাস করবে ভালবাসবে, এটাই তো কাম্য। যেভাবে হিন্দুদের উপর অত্যাচার করা হচ্ছে, এটাতো বিদ্বেষের আগুন আরো জ্বালিয়ে দেবে। আর কি লাভ হচ্ছে? কত মানুষ ভারতে আসে চিকিৎসা করাতে, কত মানুষ আছে তাদের ছেলেমেয়েদের ভবিষ্যৎ তৈরি করতে, সেগুলো সব বন্ধ হয়ে গেল,। তবে কোথায় আমরা আধুনিক হলাম? কি লাভ ? সোশ্যাল মিডিয়ায় আমি দেখছি কিভাবে বিদ্বেষ এবং ঘৃণা মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে যাচ্ছে। ওপার বাংলা এপার বাংলা একসাথে মিলেমিশে থাকবে এটাই তো দরকার। তার বদলে কি হচ্ছে? বদলা, আর ভুক্তভোগী হচ্ছেন লক্ষ লক্ষ নিরীহ সাধারণ মানুষ। অবিলম্বে দু দেশের সরকারের আলোচনায় বসা উচিত। যাতে পরিবেশ শান্ত হয়ে যায়, জানালেন সুকুমার ভাদুড়ি। আমি ভগবানকে ডাকি ঈশ্বরকে ডাকি, পুজো করাই আমার কাজ।, কিন্তু মানুষের উপর এই নির্যাতন এবং নিপীড়ন আমাকে অস্থির করে তুলেছে, আমার অনুরোধ দুই দেশের সরকারের কাছে আপনারা বসে সমাধান করুন এই সমস্যার। না হলে আগুনে ঘি পড়ার মতো, এই সমস্যা কিন্তু দিনের পর দিন বেড়েই যাবে। ক্ষতিগ্রস্ত হবে একেবারেই সাধারণ মানুষ। এটা কোনভাবেই কাম্য নয় বলে জানালেন সুকুমার ভাদুরি।