নিউটাউনের এক পার্লারে গিয়েছিলেন সাজগোজ করতে। সেখানে সাজগোজ সেরে রিঙ্কু মজুমদার বধূর বেশেই শুক্রবার সন্ধ্যায় পৌঁছে যান দিলীপ ঘোষের বাড়িতে। নিউটাউনের একটি আবাসনে থাকেন দিলীপ। প্রাক্তন বিজেপি সাংসদের সেই ফ্ল্যাটেই গোধূলি লগ্নে চার হাত এক হল দু’জনের। উপস্থিত রইলেন পরিবার এবং ঘনিষ্ঠ কয়েক জন।
আরও পড়ুন: সৌজন্যের নজির! দিলীপকে শুভেচ্ছা বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর! পুলিশের হাত দিয়ে পাঠালেন ফুল, মিষ্টি
ঘটা করে বিয়ের পক্ষপাতী নন দিলীপ। তাই সাদামাটা ভাবেই তাঁর নিউটাউনের ফ্ল্যাটে বসেছে বিয়ের আসর। রীতি-আচার মেনে সাদা ধুতি-পাঞ্জাবি পরে ছাঁদনাতলায় দিলীপ। আচার মেনে তিনি কনের বাড়িতে যাননি। বরং এ ক্ষেত্রে রিঙ্কুই কনের বেশে তাঁর বাড়িতে এসেছেন শুক্রবার সন্ধ্যায়। তাঁর পরনে লাল বেনারসী। মাথায় শোলার মুকুট, কপালে ছোট টিপ, মাথায় লাল ওড়না পরা রিঙ্কুর সাজ একেবারেই সাবেক কনে।
রিঙ্কুর সঙ্গে এসেছেন কয়েক জন কনেযাত্রী। তবে তাঁর পুত্র আসেননি। রিঙ্কু বিবাহবিচ্ছিন্ন। প্রথম পক্ষের এক পুত্রসন্তান রয়েছেন তাঁর। বছর ২৫-এর যুবক সৃঞ্জয় আনন্দবাজার ডট কমকে জানিয়েছেন, তিনি বিয়েতে থাকতে পারছেন না। তবে তাঁর থাকার ইচ্ছা ছিল। প্রসঙ্গত, সল্টলেকের একটি তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থায় কাজ করেন সৃঞ্জয়। তবে বর্তমানে ভিন্রাজ্যে রয়েছেন তিনি। সেখানে বসেই জানিয়েছেন, তাঁর মায়ের এই সিদ্ধান্তে তিনি ভীষণ খুশি। দু’জনের জন্য উপহার আনবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন: “আমরা কারা? যোগ্য যারা”- এই দাবি নিয়ে প্রতিবাদ শিলিগুড়িতে চাকরিহারা যোগ্য শিক্ষকদের
বিয়ের কারণে তাঁর রাজনৈতিক কর্মসূচিতেও কোনও পরিবর্তন হবে না। প্রতি দিনের মতো শনিবার সকালেও নিউ টাউনে প্রাতর্ভ্রমণে বেরোবেন তিনি। সঙ্গে নববধূ অবশ্য থাকবেন না। রীতি-আচার মেনে বিয়ের পরের দিন বাড়িতেই থাকবেন রিঙ্কু। ঘটনাচক্রে শনিবার দিলীপের জন্মদিন। প্রাতর্ভ্রমণের সঙ্গীরা সকালে তাঁর জন্মদিন পালন করতে পারেন। দমদমে শনিবার দিলীপের একটি রাজনৈতিক কর্মসূচি রয়েছে। তিনি সেখানেও যোগ দেবেন।