প্রথমে লাথি, তারপর ঘাড়ধাক্কা দিয়ে তারই ঘর থেকে বের করলেন। আপাতত সমাজমাধ্যম জুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে সেই ভিডিয়ো। পোস্ট করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আর সেই ভিডিয়োতে কাকে দেখা যাচ্ছে? প্রাক্তন আমলা তথা ডেবরার তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। যদিও সেই ভি়ডিয়োর সত্যতা বঙ্গবার্তা যাচাই করেনি।
কালীগঞ্জে বোমার আঘাতে নিহত তামান্নার মায়ের হাতে টাকা তুলে দেওয়ার ঘটনার পর ফের একবার বিতর্কের মুখে পড়লেন এই তৃণমূল নেতা। এদিন শুভেন্দু অধিকারী নিজের এক্স হ্যান্ডেলে একটি সিসিটিভি ফুটেজ পোস্ট করেন, যাতে দেখা যায়, কোনও একজন শীর্ষ কর্তার অফিসে ঢুকে তার গায়ে হাত তুলছেন, লাথি মারছেন তারপর ঘাড়ধাক্কা দিয়ে বের করে দিচ্ছেন এক ব্যক্তি।
আরও পড়ুন: বাঘে ছুঁলে আঠারো ঘা, পুলিশ ছুঁলে…! জানা নেই স্বর্ণ ব্যবসায়ী শেখ জামিল হুসেনের
শুভেন্দুর অভিযোগ, ‘এই সিসিটিভি ফুটেজ সল্টলেকের পশ্চিবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য় ও বিজ্ঞান বিভাগের। গত ৩ জুলাই দুপুর সাড়ে ১২টা নাগাদ সেখানে গিয়েছিলেন প্রাক্তন আমলা তথা তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে সরাসরি অ্যাসিস্ট্যান্ট রেজিস্ট্রার প্রলয় চক্রবর্তীর ঘরে ঢুকে তাঁকে মারধর করেন তৃণমূল নেতা। সরকারি আধিকারিককে রীতিমতো লাথি মেরে সবশেষে তাঁরই ঘর থেকে তাড়িয়ে দেন তিনি।’
আরও পড়ুন: ফের এনআরসি আতঙ্ক! নোটিস পেলেন কোচবিহারের বাসিন্দা
ইতিমধ্যেই এই ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়েছে সমাজমাধ্যম জুড়ে। রাজনৈতিক পারদ চড়ছে, তবে তৃণমূলের তরফ থেকে এখনও কেউ মুখ খোলেনি। সাম্প্রতিককালে কালীগঞ্জে বোমার আঘাতে নিহত নাবালিকার বাড়িতে গিয়ে তাঁর মায়ের হাতে টাকা তুলে ধরতে দেখা গিয়েছিল হুমায়ুনকে। যদিও সেই টাকা ভর্তি খাম ফিরিয়ে দিয়েছিলেন তামান্নার মা। আর তারপরেই বিতর্কের মুখে পড়ে যান বিধায়ক। কোন সাহসে ‘টাকার খাম’ নিয়ে নিহতের বাড়িতে পৌঁছন তিনি? সেই প্রশ্ন ছুড়ে দেয় বিরোধীরা। হুমায়ুনের কার্যকলাপে প্রশ্নের মুখে পড়ে তৃণমূলও। দলের তরফ থেকে বিধায়কের কাছে যায় শোকজ চিঠি। যার প্রত্যুত্তরে শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে দেখা করে হুমায়ুন বলেন, ‘শৃঙ্খলা মেনে চলব।’ কিন্তু সেই ঘটনার দিন কয়েকের মধ্য়ে ফের বিতর্কে হুমায়ুন।