কংগ্রেস হাইকমান্ডের সঙ্গে চাপা আদায় কাঁচকলায় সম্পর্ক চলতে থাকলেও তিরুবনন্তপুরম কেন্দ্রের লোকসভা সদস্য শশী তারুর নিজ রাজ্যে সবথেকে বেশি জনপ্রিয়। রাজ্যেরই আরেক সাংসদ ওয়ানাড়ের কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়ঙ্কা গান্ধীর তুলনাতেও শশী তারুরকে কেরলের মানুষ মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে সবথেকে বেশি পছন্দ করেন। একটি সমীক্ষায় এই তথ্য উঠে আসায় প্রশ্ন দেখা দিয়েছে যে, কংগ্রেস নেতা তারুর নিজেও কি মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে বসতে চাইছেন? কেরলের আসন্ন বিধানসভা ভোটে যদি কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন সংযুক্ত গণতান্ত্রিক মোর্চা (UDF) জেতে তাহলে কি দল তাঁকেই মুখ্যমন্ত্রী পদে বেছে নেবে?
আরও পড়ুন: দিল্লিতে হচ্ছে কী! একে একে হাজির দিলীপ, শমীক, সুকান্ত
সুপণ্ডিত, বাগ্মী, সুদর্শন, সর্বোপরি ক্ষুরধার বুদ্ধিধর অথচ ভাষায় ব্রিটিশ ভদ্রলোক তারুর নিজেও এই সমীক্ষার কথা তুলে বিতর্ক উস্কে দিয়েছেন। কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন জোট কেরলের ভোটে জিতলে তাঁকে দল মুখ্যমন্ত্রী করবে কিনা, যেখানে সমীক্ষা বলছে রাজ্যের শীর্ষ পদের দৌড়ে তারুরই প্রথমে রয়েছেন। মুম্বইয়ের একটি নিরপেক্ষ সংস্থা ভোট ভাইব এই সমীক্ষাটি চালায়।
সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, কেরলে ভোটের মুখে সিপিএম নেতৃত্বাধীন বাম জোট সরকার বিরোধী প্রবল হাওয়া বইছে। এদিকে, শশী তারুরের সঙ্গে রাজ্য কংগ্রেস ও দিল্লির হাইকমান্ডের মন কষাকষির সম্পর্ক চলছে বেশ কিছুদিন ধরে। তারমধ্যেও ডানপন্থী জোট সরকার গঠন হলে ২৮.৩ শতাংশ মানুষ তারুরকেই মুখ্যমন্ত্রী পদে দেখতে পছন্দ করছেন।
আরও পড়ুন: ৭৫ বছরে শুভেচ্ছা! মোদীকে অবসরবার্তা ভাগবতের
এই সমীক্ষার পরেই তারুর তাঁর এক্স হ্যান্ডলে রিপোর্টটি শেয়ার করতে দেরি করেননি। আপাতভাবে এক কংগ্রেস সমর্থকের পোস্টটিতে ট্যাগ করা হয়েছিল, রাহুল গান্ধী, কেসি বেণুগোপাল, প্রিয়ঙ্কা গান্ধী এবং রাজ্যের বিরোধী দলনেতা ভিডি সতীশনকে। পোস্টে এও উল্লেখ করা হয়েছে, গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে জর্জরিত ডানপন্থী জোট ২০২৬ সালের কেরল বিধানসভায় জিতলে শশী তারুরকেই রাজ্যের বেশিরভাগ মানুষ মুখ্যমন্ত্রী পদে পছন্দ করেছেন।
সমীক্ষা অনুযায়ী, ৩০ শতাংশ পুরুষ ভোটার তারুরকে প্রথম পছন্দের ভোট দিয়েছেন। মহিলাদের মধ্যে ২৭ শতাংশের পছন্দ তিনি। চারবার তিরুবনন্তপুরম থেকে জেতা সাংসদ সবথেকে জনপ্রিয় ৫৫ ঊর্ধ্ব ভোটারদের মধ্যে। ৩৪.২ শতাংশ বয়স্ক মানুষের পছন্দ শশী তারুরকে। ১৮-২৪ বছর বয়সি তরুণ ভোটারদের ২০.৩ শতাংশ চান তারুরই মুখ্যমন্ত্রী হন। অন্যদিকে, বর্তমান সিপিএম মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নের অশনি সংকেত ডেকে এনেছে এই সমীক্ষা রিপোর্ট। বিজয়নকে ফের মুখ্যমন্ত্রী পদে দেখতে চান মাত্র ১৭.৫ শতাংশ মানুষ। পাশাপাশি কোভিডকালে অসামান্য অবদান রাখা প্রাক্তন স্বাস্থ্যমন্ত্রী কেকে শৈলজাকে বাম সরকারের মুখ্যমন্ত্রী পদে চান ২৪.২ শতাংশ ভোটার।