আয়োজনে কোনও কমতি নেই। ডায়মন্ড হারবার-সহ শহরের একাধিক জায়গা জেলা থেকে আসা কর্মী-সমর্থকদের জন্য তৈরি হয়েছে অস্থায়ী বাসস্থান। কেউ কেউ তো দিন তিনেক ধরেই সেখানে রয়েছেন। সোমবার বীরভূম থেকে আগত এক তৃণমূল কর্মী বললেন, ‘এখানে ওষুধ দিচ্ছে, জল দিচ্ছে, স্নানের জায়গা করে দিয়েছে। বাথরুমও রয়েছে। আয়োজন খুবই ভাল। সকালে ডিম খাইয়েছে। একটা নয়, ডবল-ডবল। যত চাইছে তত পাচ্ছে।’
এবার সেই অগুনতি ডিম খেয়েই এই কর্মী-সমর্থকরা রওনা দেবেন ধর্মতলার দিকে। সেখানে ইতিমধ্যেই পৌঁছে গিয়েছে বিপুল জনস্রোত। কিছুক্ষণেই শুরু হবে সোমের সমাবেশ।
ডায়মন্ড হারবারের সোমে সাতসকালে খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থা নজরে এল কসবা গীতাঞ্জলি স্টেডিয়ামে। একুশের জুলাইয়ের সভায় উপস্থিত হওয়ার জন্য সেখানেও বেশ কয়েকদিন ধরে জড়ো হয়েছেন বহু কর্মী-সমর্থক। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন সকালে সেদ্ধ ডিম, সঙ্গে আলুর তরকারি ও এক থালা ভাত খেয়েই ধর্মতলার দিকে রওনা দিয়েছেন সেখানে উপস্থিত তৃণমূল কর্মীরা।
আরও পড়ুনঃ এ কি এ যে বাংলাদেশি ! একুশে জুলাইয়ে সমাবেশে বাংলাদেশি ছায়া কলকাতায়
তবে যারা অস্থায়ী ক্য়াম্পগুলিতে রয়েছেন শুধু তারাই খাবার পাচ্ছেন এমনটা কিন্তু মোটেই নয়। শিয়ালদহ স্টেশনে ভোরের ট্রেন ধরে আগত তৃণমূল কর্মীরাও যাতে খালি পেটে সভায় না যান, তার ব্যবস্থা করেছে দল। সেখানে তত্ত্বাবধানে রয়েছেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ও জীবনকৃষ্ণ সাহা। তাদের উদ্য়োগেই আগত ধর্মতলাগামীদের খাওয়ানো হচ্ছে খিচুড়ি ও ডিম।