সকাল থেকেই আকাশের মুখ ভার। ঝিরিঝিরি বৃষ্টি শুরু হয়েছে। আলিপুর আবহাওয়া অফিস আগেই বলেছিল নিম্নচাপের প্রভাব পড়বে এ বঙ্গে। সেই মতোই অক্ষরে-অক্ষরে মিলল পূর্বভাস। দক্ষিণবঙ্গের আকাশে শুরু দুর্যোগের মেঘ। যার জেরে শুরু হয়েছে বৃষ্টি।
আরও পড়ুনঃ হারাচ্ছে বিশ্বাস! পরকীয়ায় সবথেকে এগিয়ে এই শহর
আবহাওয়া দফতর বলছে, বঙ্গোপসাগরে জন্ম নিয়ে নিয়েছে নিম্নচাপ। শক্তি বাড়িয়ে ক্রমশই এগিয়ে আসছে ওড়িশা-বাংলার দিকে। বস্তুত, দক্ষিণ চিন সাগরে ঘূর্ণিঝড় উইফা ছিল। তারপর ভিয়েতনাম, মায়ানমার, থাইল্যান্ডে ঢোকার পর এর শক্তি কমে যায়। ঘর্ণঝড় থেকে সেটি ঘূর্ণাবর্তে পরিণত হয়। আগেই একটি নিম্নচাপ ছিল বঙ্গোপসাগরে। আর এই ঘূর্ণাবর্ত এসেও পড়ে সাগরে। দুয়ে মিলে একটি নতুন নিম্নচাপের সৃষ্টি করে। তারই প্রভাব পড়ছে বাংলায়।
আর এই নিম্নচাপের ফাঁড়ায় তিন-চারদিন প্রবল বৃষ্টি পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস। আজ উপকূলের জেলাগুলিতে অতি ভারী বৃষ্টির কমলা সতর্কতা রয়েছে। বৃহস্পতিবার ভারী বৃষ্টি হতে পারে পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, মুর্শিদাবাদ, নদিয়ায়। আর অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুরে। কলকাতা-সহ বাকি জেলাতে বিক্ষিপ্তভাবে দু-এক পশলা ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে।
আরও পড়ুনঃ শ্রাবণ অমাবস্যায় গুরুপুষ্য যোগ, কর্মক্ষেত্রে পদোন্নতি আটকে যেতে পারে
আগামিকাল অর্থাৎ শুক্রবার পশ্চিমাঞ্চলে অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা রয়েছে পশ্চিমের জেলাগুলিতে। পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া, বাঁকুড়ায় হবে অতিভারী বৃষ্টি।শুক্রবার ভারী বৃষ্টির সতর্কতা কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমানে।
বেশ কয়েকদিন আগেই টানা বৃষ্টিতে ভেসেছিল বাংলা। বিশেষ করে দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলা ভেসে গিয়েছিল প্লাবনে। এবার ফের বৃষ্টি হলে আবারও ভেসে যাওয়ার সম্ভাবনা একাধিক জেলা।