শান্তিনিকেতনের তালতোড় এলাকায় এক ছবির শ্যুটিংকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা। স্বাধীনতা দিবসের আগেই বিতর্কে জড়ালো অরিজিৎ সিং ও তাঁর দেহরক্ষীর নাম। ঠিক কী ঘটেছে? শান্তিনিকেতনের স্থানীয় বাসিন্দা কমলাকান্ত লাহা, অরিজিৎ সিং ও তাঁর দেহরক্ষীর বিরুদ্ধে হেনস্থার অভিযোগ দায়ের করেছেন।
আরও পড়ুনঃ চিতা না জ্বলে উঠলে মায়ের পুজো এখানে সম্পূর্ণ হয় না
সূত্রের খবর, অরিজিৎ সিং গত কয়েক মাস ধরে শান্তিনিকেতনে একটি সিনেমার শ্যুটিংয়ে নিয়মিত যুক্ত থাকছেন। ১৩ অগস্ট সেই ছবিরই একটি দৃশ্যের শুট চলছিল তালতোড় এলাকায়। শ্যুটিং-এর প্রয়োজনে এক বড় রাস্তা আংশিকভাবে আটকে রাখা হয়, যা স্থানীয়দের জন্য ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
কমলাকান্ত লাহা জানান, তিনি কাজের জন্যে কোপাই-এর দিকে যাচ্ছিলেন। তখন রাস্তা অবরুদ্ধ থাকায় তাঁকে থামতে বলা হয়। তাঁর কথায়, “গার্ডরা আমাকে বলেছিল, পাঁচ মিনিট অপেক্ষা করতে। আমি অপেক্ষা করলাম, কিন্তু তাঁরা এরপর বলল আরও ৩০ মিনিট লাগবে। আমার জরুরি কাজ ছিল, তাই আমি রাস্তা পার হওয়ার চেষ্টা করি,” বলেন লাহা।
তাঁর অভিযোগ, এই সময় দেহরক্ষীরা তাঁকে যেতে বাধা দেয় এবং যার জেরে তাঁর হাতে চোট লাগে। এমনকি তাঁকে পুলিশ ভ্যানে তোলার চেষ্টাও করা হয় বলে তিনি দাবি করেছেন। ঘটনাচক্রে, তাঁর একটি সোনার আংটিও হারিয়ে যায় বলে জানান তিনি। বলেন, “আমি নিজে একজন শিল্পী। আরেকজন শিল্পীর থেকে এমন ব্যবহার আশা করিনি,” বলেন লাহা।
ঘটনার পর লাহা প্রথমে শান্তিনিকেতন থানায় মৌখিক অভিযোগ জানান এবং পরে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন, যেখানে অরিজিৎ সিং এবং তাঁর দেহরক্ষীর নাম স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ দিঘায় দুর্ঘটনা; উত্তাল সমুদ্রে তলিয়ে গেল দুই পর্যটক
বীরভূম জেলার পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে এবং সবদিক থেকে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তিনি আশ্বস্ত করেছেন, “উভয় পক্ষের বক্তব্য শোনার পরই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” ঘটনার পর অরিজিৎ সিং কিংবা তাঁর টিমের পক্ষ থেকে এখনও পর্যন্ত কোনও আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।