কুশল দাসগুপ্ত, শিলিগুড়িঃ
মনসার পুজোয় ঘোর আপত্তি থাকলেও লক্ষিন্দরের প্রাণ ফেরাতে পুজো করতে বাধ্য হয়েছিলেন চাঁদ সদাগর। মনসামঙ্গল কাব্যের সেই সব চরিত্রদের নিয়েই পাঁচ শতাধিক বছর ধরে মনসা পুজো করে আসছে জলপাইগুড়ির বৈকন্ঠপুর রাজ পরিবার। এই বছর রাজবাড়ির মনসা পুজো ৫১৫ বছরে পা দেবে। রাত পোহালেই পুজো। তারই প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে বৈকুন্ঠপুরের রাজবাড়িতে।
আরও পড়ুনঃ ৮৬-তেও ক্লান্তিহীন, বিধিনিষেধ জারি চিকিৎসকদের
পুজোকে কেন্দ্র করে বসবে মেলা। থাকছে বিষহরি গানের অনুষ্ঠান। তিন দিন ধরে চলবে পুজো। উত্তরবঙ্গ , অসম, নেপাল-সহ দূর-দূরান্ত থেকে ভক্তরা ছুটে আসেন জলপাইগুড়ি রাজবাড়ির মনসা মন্দিরে। পুজোর দিন স্কুল থেকে ছুটি পায় খুদে পড়ুয়ারা। রাজবাড়ির মনসা পুজো উপলক্ষে এদিন বন্ধ থাকে জলপাইগুড়ি শহর এবং শহর সংলগ্ন গ্রামীন এলাকার প্রাথমিক স্কুলগুলি, কোনও কোনও বিদ্যালয় দেয় অর্ধ দিবসে ছুটি।
আরও পড়ুনঃ শোকের ছায়া ধূপগুড়িতে; স্নান করতে গিয়ে তলিয়ে মৃত্যু কিশোরের
রাজবাড়ির পুজোয় মাকে আমিষ ভোগ নিবেদন করা হয়। এই বছর মনসা পুজোর দিনই রয়েছে নন্দ উৎসব। নন্দ উৎসবের দিন কাদা খেলা। আর সেই কাদা দিয়ে দুর্গার কাঠামো পুজো করে প্রতিমা তৈরির নিয়ম রয়েছে রাজবাড়িতে। এই বছরও অন্যথা হবে সেই পারিবারিক নিয়মের। নিয়ম মেনে এবারও মনসা পুজোর পাশাপাশি একই সঙ্গে দুর্গার কাঠামো পুজো ও প্রতিমা তৈরির কাজ শুরু হবে জলপাইগুড়ির বৈকুন্ঠপুর রাজবাড়িতে।