Tuesday, 19 August, 2025
19 August, 25
Homeউত্তরবঙ্গGambling: আক্রারহাট বাজারে রমরমিয়ে জুয়ার আসর; চাঞ্চল্য শীতলকুচিতে

Gambling: আক্রারহাট বাজারে রমরমিয়ে জুয়ার আসর; চাঞ্চল্য শীতলকুচিতে

প্রতি নম্বর কেনার জন্য ১২ টাকা ৫০ পয়সা দিতে হয়।

অনেক কম খরচে ভিডিও এডিটিং, ফটো এডিটিং, ব্যানার ডিজাইনিং, ওয়েবসাইট ডিজাইনিং এবং মার্কেটিং এর সমস্ত রকম সার্ভিস পান আমাদের থেকে। আমাদের (বঙ্গবার্তার) উদ্যোগ - BB Tech Support. যোগাযোগ - +91 9836137343.

সোমেন দত্ত, কোচবিহারঃ

শীতলকুচি ব্লকের আক্রারহাট বাজারে রমরমিয়ে জুয়ার আসর চলছে। তবে এই জুয়া কীভাবে খেলা হয় তা সহজে দেখে বোঝার উপায় নেই। জুয়া খেলা চলছে সাদা কাগজের টুকরোতে। পুলিশ বা সন্দেহজনক কোনও ব্যক্তিকে দেখলেই জুয়াড়িরা লুকিয়ে ফেলে সাদা কাগজের টুকরো। এই বিষয়ে মাথাভাঙ্গা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সন্দীপ গড়াই বলেন, ‘বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।’

আরও পড়ুনঃ ট্রেড লাইসেন্স বিভাগে ঘুঘুর বাসা, দালালরাজের রমরমা; প্রশ্নের মুখে শিলিগুড়ি পুরনিগম

আক্রারহাট বাজারে সবজিহাটিতে একাধিক লটারির দোকানে নামী কোCম্পানির লটারির পাশাপাশি একটি চিরকুট রাখা হচ্ছে। এই চিরকুটে ০ থেকে ৯ পর্যন্ত যে কোনও একটি সংখ্যা বেছে নিতে পারেন স্থানীয় বাসিন্দারা। প্রতি নম্বর কেনার জন্য ১২ টাকা ৫০ পয়সা দিতে হয়। এরপর একটি নামী লটারি কোম্পানির ফলাফল ঘোষণার পর প্রথম পুরস্কারের পাঁচটি সংখ্যার মাঝের নম্বর মিলে গেলে প্রতিটি নম্বরের জন্য বাসিন্দাদের ১০০ টাকা করে পাওয়ার কথা। এভাবে দীর্ঘদিন ধরেই জুয়া খেলা চলছে। বিষয়টি স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছে অজানা নয়।

আরও পড়ুনঃ দুর্গাপুজো এখন হেরিটেজ; বিনামূল্যে দুর্গা পূজা দেখার বড় সুযোগ

এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, এই জুয়ার মাধ্যমে অল্প টাকায় বড় অঙ্ক পাওয়ার লোভ দেখিয়ে সাধারণ মানুষকে ফাঁদে ফেলা হচ্ছে। বহু মানুষ কয়েকদিনেই টাকা হারিয়ে সর্বস্বান্ত হয়েছেন। স্থানীয় বাসিন্দা সুজন অধিকারী বলেন, ‘শুরুতে ছোট অঙ্কের টাকা জিতিয়ে লোভ বাড়ানো হয়। এরপর মানুষকে বড় অঙ্কের টাকা পাইয়ে দেওয়ার লোভ দেখানো হয়।’ এলাকার এক বাসিন্দা রফিকুল মিয়াঁর অভিযোগ, ‘এই ব্যবসার পিছনে স্থানীয় কিছু মাতব্বর ও পুলিশের মদত আছে। নাহলে প্রকাশ্য বাজারে এই ধরনের অবৈধ জুয়া চলছে, তারপরেও পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না কেন? জুয়ায় হেরে রোজ পরিবারে অশান্তি লেগেই আছে। প্রশাসনের উচিত অবিলম্বে এই জুয়া বন্ধ করা।’ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আক্রারহাট বাজারের এক প্রবীণ ব্যবসায়ী বলেন, ‘বিষয়টি স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা জানলেও তাঁরা কোনও পদক্ষেপ করেননি। ফলে দিনের পর দিন এই জুয়া খেলা বেড়েই চলেছে।’

 

এই মুহূর্তে

আরও পড়ুন