সূর্য্যকান্ত চৌধুরী, বাঁকুড়াঃ
স্কুলে উপস্থিতির হার বেশি দেখিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা তছরুপের অভিযোগ। নেই পরিচালন সমিতি। আর তাতেই ক্ষোভে ফুঁসছে অভিভাবকেরা। স্কুলে চলল বিক্ষোভ। ঘটনা বাঁকুড়ার গঙ্গাজলঘাঁটি ব্লকের লছমনপুর পরমহংস যোগানন্দ বিদ্যাপীঠের। সব অভিযোগই স্কুলের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। তিনি যদিও তছরুপের অভিযোগ মানতে চাননি। তবে মিড ডে মিলের টাকা উদ্বৃত্ত করানোর কথা স্বীকার প্রধান শিক্ষকের। কিন্তু শেষ পর্যন্ত শাসক দলের চাপেই পরিচালন সমিতি গঠন করা যায়নি বলে সাফাই দিচ্ছেন তিনি। যদিও অভিযোগ খোদ প্রধান শিক্ষকের অনিচ্ছাতেই পরিচালন সমিতি গঠন করা যায়নি।
আরও পড়ুনঃ ভাড়া বাড়ল দ্বিগুণ, তিনগুণ! কৌশিকী অমাবস্যায় তারাপীঠে এসি, নন-এসি রুমের ভাড়া জানলে চোখ উঠবে কপালে
অভিযোগ, শিক্ষা দফতর থেকে বারংবার পরিচালন সমিতি গঠনের নির্দেশ দেওয়া হলেও স্কুল কর্তৃপক্ষের তরফে কোনও উদ্যোগই নেওয়া হয়নি। সেই সুযোগকেই কাজে লাগিয়েছেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক প্রকাশ চন্দ্র পন্ডা। স্কুলে পড়ুয়াদের উপস্থিতি বেশি দেখিয়ে বছরের পর বছর ধরে মিড ডে মিলের বরাদ্দ লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। শুধু তাই নয় স্থানীয় অভিভাবকদের অভিযোগ স্কুলের সর্বশিক্ষা অভিযানের বরাদ্দ ব্যবহারের ঠিকমতো হিসাব দিতে পারছেন না তিনি। একইসঙ্গে স্কুল চত্বর থেকে লক্ষ লক্ষ টাকার গাছ বিক্রি হয়েছে। কিন্তু তারও ঠিকমতো হিসাব দিতে পারছেন না।
আরও পড়ুনঃ ‘ল্যান্ড ইউজ ম্যাপ’ তৈরি করা হচ্ছে; শৈবতীর্থ তারকেশ্বরকে ঘিরে নগর পরিকল্পনা
এ নিয়ে এদিন স্কুলে ব্যাপক বিক্ষোভ দেখান অভিভাবকেরা। তাঁদের স্পষ্ট কথা, অবিলম্বে ওই প্রধান শিক্ষক স্কুলের তহবিলের টাকার হিসাব না দিলে আগামীদিনে আরও বৃহত্তর আন্দোলন হবে। বিতর্কের মুখে লছমনপুর পরমহংস যোগানন্দ বিদ্যাপীঠের প্রধান শিক্ষক প্রকাশ চন্দ্র পন্ডার দাবি, উদ্বৃত্ত টাকায় স্কুলে সরস্বতী পুজোর ঘাটতি পূরণ থেকে শুরু করে স্কুলের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে খাওয়া-দাওয়ার উদ্দেশ্যে খরচ করা হয়েছে। ঘটনায় নড়েচড়ে বসেছে স্কুল শিক্ষা দফতরের আধিকারিকরা। উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন গঙ্গাজলঘাটির স্কুল পরিদর্শক মহাদেব মাইতি। আধিকারিকরা বলছেন, পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পড়ুয়াদের উপস্থিতি বেশি দেখানো যেমন বেআইনি তেমনই উদ্বৃত্ত টাকা অন্য খাতে খরচ করাও নিয়ম বিরুদ্ধ। দ্রুত ওই টাকার হিসাব চাওয়া হবে। তা না দিলে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হতে পারে।