কুশল দাশগুপ্ত, শিলিগুড়িঃ
হোয়াটসঅ্যাপে স্টেটাস দিয়ে পলিটেকনিক ছাত্রীর অস্বাভাবিক মৃত্যু । বাঁচাতে গিয়ে গণধোলাইয়ের শিকার তিন বন্ধু। উদ্ধার করতে গেলে পুলিশের গাড়ির উপরেও চড়াও হয় উত্তেজিত জনতা। আহত তিন ছাত্রকে উদ্ধার করে জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজের সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে ভর্তি করেছে কোতোয়ালি থানার পুলিশ। বুধবার রাতের এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
আরও পড়ুনঃ শুরু হয়েছে বিতর্ক! সব রাস্তা সংস্কার হচ্ছে না পুজোর আগে
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, জলপাইগুড়ি পলিটেকনিক কলেজ পড়ুয়া এক দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী স্টেটাস দেন, তিনি আত্মহত্যা করতে চলেছেন। সেই স্টেটাস দেখে কলেজের তিন ছাত্র কোতোয়ালি থানার কালিয়াগঞ্জ এলাকায় তাঁর বাড়িতে যান। তাঁর ঘরে ঢুকলে দেখতে পান, বান্ধবী ঝুলে রয়েছেন। তাঁরা চিৎকার করে লোক ডাকেন। বলে জলদি হাসপাতালে নিয়ে আসুন। বাড়ির লোক নার্সিং হোমে নিয়ে যায়। সেখান থেকে বলে হাসপাতালে নিয়ে যান। এরপর ৩ ছাত্র আগেভাগে হাসপাতালে চলে যান।
তাঁকে নিয়ে আসতে দেরি হচ্ছে দেখে, তাঁরা ফের বান্ধবীর বাড়িতে যান। দেখতে পান তাঁর দেহ মাটিতে রাখা। ওইসময় ৩ ছাত্রকে দেখতে পেয়ে চড়াও হন বাড়ি সদস্যরা।বেধড়ক মারধর করতে থাকেন। খবর পেয়ে পুলিশ উদ্ধার করতে গেলে তাঁদের ওপর চড়াও হয় উত্তেজিত জনতা। এরপর ওই ৩ ছাত্রকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায় পুলিশ। অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুনঃ ‘বিধানচন্দ্র রায় বাংলার রূপকার, আর নবরূপকারের নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়’ বললেন মলয়
আই সি সঞ্জয় দত্ত জানিয়েছেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আপাতত তিন বন্ধু, যাঁরা আক্রান্ত হয়েছেন, তাঁদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ছাত্রীর তিন বন্ধু সুস্থ হলে, তাঁদেরকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে জানিয়েছেন তদন্তকারীরা।