সাহেব দাস, তারকেশ্বরঃ
একদিকে আইসিডিএস সেন্টারে পড়াশোনা পড়ানো হচ্ছে গ-এ গরু, ছ-এ ছাগল। পাশেই শুয়ে আছে ছাগল, একটু দূরে গরু। আর অন্যদিকে, আইসিডিএস সেন্টারে পড়াশোনা চলছে খোলা আকাশের নীচে। যেখানে পড়াশোনা চলছে, তার পাশেই খোলা শৌচালয়, চট দিয়ে ঘেরা। এটাই হুগলির আরামবাগের আইসিডিএস সেন্টারের ছবি।
আরও পড়ুনঃ অন্তর্দ্বন্দ্ব নিয়ে কড়া বার্তা দিয়েছে শীর্ষ নেতৃত্ব; শাসকদলের গোষ্ঠীকোন্দলে উত্তেজনা তুফানগঞ্জে
যেখানে গর্ভবতী মা ও শিশুদের রান্না হচ্ছে, সেটিও খোলা আকাশের নীচে শৌচালয়ের পাশেই। প্রশ্ন উঠেছে, এটাই কি স্বাস্থ্যসম্মত শিক্ষা? গোঘাটের ডাঙড়ি আদিবাসী পাড়ায় রয়েছে ওই আইসিডিএস সেন্টারটি। মায়েরা কোলের শিশুদের নিয়ে কেউ কেউ আইসিডিএস সেন্টারে বসে আছেন। পাশের খোলা শৌচালয় থেকে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে।
দিদিমণি শিশুদের পড়াচ্ছেন। একমাত্র তিনিই সরকারিভাবে অঙ্গনওয়াড়ি শিক্ষিকা। আর কোনও পরিচারিকা নেই। দিদিমণি তাঁর যৎসামান্য বেতনের টাকা থেকে রাঁধুনী রেখেছেন রান্নার জন্য। নেই আইসিডিএস-এর কোনও ভবন। বর্ষায় কোনওরকমে লোকের দুয়ারে মাথা গুঁজতে হয় শিশুদের নিয়ে। আর আইসিডিএস সেন্টারে দেখা গেল কেবলমাত্র ডেলা বাঁধা ভাত আর সিদ্ধ ডিম দেওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুনঃ ‘ইঞ্চিতে-ইঞ্চিতে বুঝে নেব’, VC-কে ‘দেখ নেওয়ার’ হুমকি TMCP নেতার
সেন্টারে কর্মরত আসাদা বিবি বলেন, “জল উঠে গেলে অন্য জায়গায় রান্না করতে যেতে হয়। টাকাও তেমন পাই না। আমাদের কোনও রাঁধুনি নেই। দিদিমনি নিজের বেতন থেকে মাসে ৩৫০ টাকা দেয়। ছেলেমেয়েরা যাতে একটু শিক্ষা পায়, এটা ভেবেই আলি।”