দুর্গাপুজো মানেই খাওয়া-দাওয়ার রেশ! মণ্ডপে মণ্ডপে ঘোরা আর সঙ্গে পেটপুজো—এই দুই মিলে উৎসবের আমেজ যেন পূর্ণতা পায়। শিলিগুড়ি শহরও তার ব্যতিক্রম নয়। পুজোর ভিড় সামলে যে যার মতো করে খাওয়ার জায়গা খুঁজে নেন দর্শনার্থীরা। এবারের পুজোতেও শহরে রয়েছে নানা স্বাদের অফার—বাংলা থালি থেকে শুরু করে ফাইন ডাইনিং, সবই মিলবে আপনার হাতের নাগালে।
বাংলা খাবারের টানে এ বছরও ভিড় জমবে শহরের বিভিন্ন রেস্টুরেন্টে। প্রধানে আছে Epare Bangla। এখানে মাটন, ফিস, চিকেন, এগ থালি থেকে শুরু করে রয়েছে “মহা ভোজ থালি”। দাম ২৫০ টাকা থেকে শুরু হয়ে ৭৯০ টাকার মধ্যে মিলবে একেকটা থালি। দুইজনের বাজেট হবে প্রায় হাজার টাকার মধ্যে।
আরও পড়ুনঃ মাত্র চারটি শর্ত মানলেই লাখো দর্শকের কাছে পৌঁছে যাবে প্রোফাইল ও পেজ
বাংলা খাবারের পুরনো স্বাদ খুঁজতে চাইলে নজর কাড়বে Bhojohori Manna। খাঁটি বাঙালি রান্না, ফিস ফ্রাই, ভাত-ডাল-ভাজা থেকে শুরু করে কষা মাংস—সবই মিলবে এখানে। দু’জনের জন্য খরচ দাঁড়াবে প্রায় ১২০০ থেকে ১৫০০ টাকার
একইভাবে জনপ্রিয় 16 Bengali Street বা Sandhya Hotel-এও ভিড় কম হবে না। পকেট ফ্রেন্ডলি দামে থালি মিললেও বৈচিত্র্যে ভরপুর মেনু দর্শকদের মন টানবে নিশ্চিত।
যাঁরা একটু ভিন্ন স্বাদ চান, তাঁদের জন্য রয়েছে Kasturi – Dhakai Bengali Cuisine। ঢাকাই ঢঙে সাজানো খাবারে মিলবে বিশেষ ফ্লেভার, ফিস বা মাটনের নানা পদে থাকবে বাড়তি চমক।
আরও পড়ুনঃ উৎসবের আবহ যাঁরা তৈরি করেন, তাঁরাই ব্রাত্য
অন্যদিকে Anubhuti, যা হোটেল অমরাবতীতে অবস্থিত, সেখানে পরিবেশের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে স্পেশাল থালি মিলবে প্রিমিয়াম টাচে।
শুধু থালিই নয়, পুজোর দিনে চাইলে যেতে পারেন ফাইন ডাইনিং রেস্টুরেন্টেও। Courtyard by Marriott Siliguri-র Siliguri Kitchen বা Cinnamon Terrace-এ রয়েছে মাল্টি কুইজিন বাফে অপশন। যদিও বাজেট তুলনামূলক বেশি—দু’জনের খরচ ১২০০ থেকে ২০০০ টাকারও বেশি হতে পারে, কিন্তু উৎসবের দিনে আলাদা অভিজ্ঞতা পেতে চাইলে এখানে ভিড় জমাবেন অনেকেই।
এছাড়াও Dhaba by Amber, RAAG – Raise A Glass কিংবা The Origins Restaurant-এও রয়েছে বৈচিত্র্যময় মেনু ও ভালো পরিবেশ, যা পুজোর সন্ধ্যায় একেবারে মানানসই।
মোটকথা, শিলিগুড়ির দুর্গাপুজো এখন কেবল আলো-আলঙ্কার আর ঠাকুরদর্শনের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। শহরের রেস্তোরাঁগুলো একে একে সাজিয়েছে বিশেষ পুজো মেনু। থালি থেকে ফাইন ডাইনিং—সবকিছুই পাওয়া যাবে বাজেট অনুযায়ী। ফলে এবারের পুজো ঘোরার সঙ্গে সঙ্গে পেটপুজোও হবে রসনাতৃপ্তির উৎসব।