ধন, যশ, খ্যাতি ও সমৃদ্ধির দেবী মা লক্ষ্মী-র আরাধনার জন্য কোজাগরী পূর্ণিমার রাতটি বিশেষ শুভ। বিশ্বাস করা হয়, এই রাতে মা লক্ষ্মী পৃথিবীতে ভ্রমণে আসেন। এবং ভক্তদের মনোবাঞ্ছা পূর্ণ করেন।
শাস্ত্রমতে, দেবীর পুজোয় কিছু নির্দিষ্ট উপাদান ব্যবহার করা আবশ্যক, যার মধ্যে ফুল একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ স্থান অধিকার করে। মা লক্ষ্মীর আরাধনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে এমন একটি ফুল, যেটি ছাড়া দেবীর পুজো অসম্পূর্ণ।
মা লক্ষ্মীর সবথেকে প্রিয় ফুল হল পদ্ম। তাই কোজাগরী লক্ষ্মীপুজো পদ্ম ফুল ছাড়া অসম্পূর্ণ। পদ্ম শুধু একটি ফুল নয়, এটি বিশুদ্ধতা, ঐশ্বর্য এবং আধ্যাত্মিক উন্নতির প্রতীক। মা লক্ষ্মী নিজেই পদ্মাসনা। অর্থাৎ পদ্মের ওপর উপবিষ্ট বা পদ্মধারী হিসেবে পরিচিত দেবী লক্ষ্মী। কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোর দিন তাই অবশ্যই দেবীর চরণে পদ্ম ফুল নিবেদন করতে হয়। সাধারণত, গোলাপি বা সাদা পদ্মকে দেবীর পুজোতে শ্রেষ্ঠ বলে মনে করা হয়।
আরও পড়ুনঃ শূন্যের গেরো! ‘মাল্টিট্যালেন্ট’ নেতৃত্ব চাইছে বঙ্গ সিপিএম
কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোতে আরও যে ফুলগুলি আবশ্যক সেগুলি হল গাঁদা ফুল ও গোলাপ ফুল।
নিম্নে উল্লেখ করা হল এই ফুলের পাশাপাশি যে পাতা লাগে লক্ষ্মীপুজোতে —
- গাঁদা ফুল: এই সহজলভ্য ফুলটি যে কোনও শুভ কাজে ব্যবহৃত হয়। হলুদ বা কমলা গাদা ফুল দেবীর পুজোয় ব্যবহার করা শুভ।
- গোলাপ: গোলাপের সুবাস দেবী লক্ষ্মীর ভীষণ প্রিয়। তবে মনে রাখতে হবে, গোলাপ যেন একেবারে টাটকা ও কাঁটামুক্ত হয়।
- জবা ফুল: মা কালীর পুজোতে জবা ফুল অপরিহার্য হলেও লক্ষ্মীপুজোতে সাদা বা লাল জবাও নিবেদন করা যায়।
- তুলসী পাতা: তুলসী বিষ্ণুপ্রিয়া। আর লক্ষ্মী হলেন বিষ্ণুর সহধর্মিণী। তাই মা লক্ষ্মীর পুজোতে তুলসী পাতা ও মঞ্জরি অবশ্যই ব্যবহার করা উচিত। তবে লক্ষ্মী পুজোতে তুলসী পাতা সরাসরি দেবীর চরণে দেওয়া হয় না। এটি সাধারণত পুজোর সামগ্রীর সঙ্গে বা ভোগে ব্যবহার করা হয়।
- ধানের শীষ: এটি সরাসরি ফুল না হলেও, দেবী যেহেতু শস্য এবং সমৃদ্ধির প্রতীক, তাই পুজোতে ধানের শীষ বা নতুন চালের প্রতীক রাখা অত্যন্ত শুভ বলে মনে করা হয়।
বিঃ দ্রঃ- এই প্রতিবেদনের বক্তব্য হিন্দু শাস্ত্র থেকে প্রাপ্ত তথ্য। এই বিষয়ে কোনও দায় নেই বঙ্গবার্তার।