উত্তরবঙ্গের দুর্যোগ কবলিত এলাকায় ত্রাণসামগ্রী পৌঁছোতে গিয়ে সোমবার দুপুরে আক্রান্ত হয়েছেন বিজেপির মালদহ উত্তরের সাংসদ খগেন মুর্মু এবং শিলিগুড়ির বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। পদ্মশিবিরের অভিযোগ, তৃণমূলের লোকেরাই রয়েছেন হামলার নেপথ্যে। আর তৃণমূলের ঘটনার নিন্দা করে দাবি করেছে, এর সঙ্গে তাদের দলের কারও যোগ নেই। কিন্তু প্রধান বিরোধী দলের দুই জনপ্রতিনিধির উপর হামলার ঘটনায় গর্জে উঠে খগেন, শঙ্করের পৃথক পরিচয় লিখতে চাইল সিপিএম। ঘটনাচক্রে, এই দু’জনই প্রাক্তন সিপিএম নেতা।
আরও পড়ুনঃ হামলার মুখে বিজেপি সাংসদ ও বিধায়ক
সোমবার সিপিএম রাজ্য দফতরে সাংবাদিক বৈঠক করেন দলের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। সেখানেই তিনি বলেন, ‘‘রাজ্যকে বিরোধীশূন্য করার যে সংস্কৃতি তৃণমূল চালু করেছে, তারই ফল হচ্ছে বিরোধী দলের দুই জনপ্রতিনিধির উপর আজকের হামলা।’’ এর পরেই সেলিম বলেন, ‘‘অ-আরএসএস বিজেপির জনপ্রতিনিধিরা মার খেয়েছেন। কারা মারল? তৃণমূলের সঙ্গে থাকা আরএসএস? নাকি বিজেপির আরএসএস?’’ কেন বেছে বেছে এই দু’জনের উপরেই হামলা হল তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন সেলিম।
খগেন ছিলেন সিপিএমের মালদহ জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য এবং কৃষক সভার নেতা। সিপিএমের টিকিটেই জিতেছিলেন হবিবপুর বিধানসভা থেকে। শঙ্করের উত্থান সিপিএমের যুব সংগঠন ডিওয়াইএফআই থেকে। একটা সময়ে তিনি ছিলেন প্রাক্তন পুর ও নগরোন্নয়নমন্ত্রী অশোক ভট্টাচার্যের ঘনিষ্ঠ নেতা।
আরও পড়ুনঃ ২ দফায় ভোট বিহারে, তারিখ জানাল জাতীয় নির্বাচন কমিশন
অশোক যখন শিলিগুড়ির মেয়র হন, সেই সময়ে শঙ্কর মেয়র পারিষদও ছিলেন। ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের আগে খগেন যোগ দিয়েছিলেন বিজেপিতে। পর পর দু’বার বিজেপির টিকিটে জিতে মালদহ উত্তর থেকে সাংসদ হন খগেন। শঙ্কর বিজেপিতে যোগ দেন ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটের প্রাক্কালে। পুরনো দলের রাজনৈতিক গুরু অশোককে হারিয়েই বিধানসভায় পৌঁছেছেন তিনি।
উত্তরবঙ্গের দুর্যোগে মানুষের পাশে দাঁড়াতে সীমিত সাংগঠনিক সামর্থ নিয়ে ত্রাণকার্যে নামার চেষ্টা করছে বামেরা। ছাত্র ও যুব সংগঠনের প্রথম সারির নেতাদের ইতিমধ্যেই দুর্যোগকবলিত জেলায় পাঠানো হয়েছে। তবে অনেকের বক্তব্য, এই পরিস্থিতিতে সিপিএম প্রাসঙ্গিক থাকতেই বিজেপির জনপ্রতিনিধিদের পৃথক পরিচয় দিতে চাইল আলিমুদ্দিন স্ট্রিট।