Tuesday, 14 October, 2025
14 October
Homeদক্ষিণবঙ্গBankura: "কলম কেড়ে নিতে বেশী সময় লাগবে না"; পঞ্চায়েত-জেলা পরিষদের সদস্যদের বেনজির...

Bankura: “কলম কেড়ে নিতে বেশী সময় লাগবে না”; পঞ্চায়েত-জেলা পরিষদের সদস্যদের বেনজির ‘হুমকি’

পাত্রসায়েরে ছিল তৃণমূলের বিজয়া সম্মেলনী। সেখানেই বক্তব্য রাখতে গিয়ে এই হুঁশিয়ারি দিতে দেখা যায় সুব্রতকে।

অনেক কম খরচে ভিডিও এডিটিং, ফটো এডিটিং, ব্যানার ডিজাইনিং, ওয়েবসাইট ডিজাইনিং এবং মার্কেটিং এর সমস্ত রকম সার্ভিস পান আমাদের থেকে। আমাদের (বঙ্গবার্তার) উদ্যোগ - BB Tech Support. যোগাযোগ - +91 9836137343.

সূর্যকান্ত চৌধুরী, বাঁকুড়া:

দলের কাজ না করলে এবার গ্রাম পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতির নির্বাচিত জন প্রতিনিধিদের ক্ষমতা কেড়ে নিয়ে তা দলের বুথ সভাপতিদের দেওয়ার হুঁশিয়ারি। তাতেই তীব্র বিতর্ক। শোরগোল তৃণমূলের বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি সুব্রত দত্তকে নিয়ে। মঙ্গলবার পাত্রসায়েরে ছিল তৃণমূলের বিজয়া সম্মেলনী। সেখানেই বক্তব্য রাখতে গিয়ে এই হুঁশিয়ারি দিতে দেখা যায় সুব্রতকে। এ নিয়ে চাপানউতোর শুরু হতেই সমালোচনায় সরব হয়েছে পদ্ম শিবির।

আরও পড়ুনঃ হর্ষণা যোগের সঙ্গে অশ্বিনী নক্ষত্র, কৃষ্ণা প্রতিপদে প্রতিটি কাজে সফল হবে এই চার রাশি

আগের বিধানসভা নির্বাচনে বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলায় রীতিমতো ভরাডুবি হয়েছিল ঘাসফুল শিবির। ৬টি আসনের মধ্যে ৫টি আসনই ছিনিয়ে নিয়েছিল বিজেপি।  লোকসভা ভোটেও বিষ্ণুপুর আসনে জয়ের মুখ দেখেনি তৃণমূল।

এই পরিস্থিতিতে বছর ঘুরলেই রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন। তাই তৃণমূল যে এবার জমি শক্ত করতে কোমর বেঁধে নেমে পড়বে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। বিধানসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করেই বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলায় নিজেদের সংগঠনকে মজবুত করতে ভোটের কিছুটা আগে থেকেই জনসংযোগে জোর দিতে চাইছে ঘাসফুল শিবির। ইতিমধ্যেই দলের পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতির নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের জোরকদমে মাঠে নামার নির্দেশ দিয়েছে তৃণমূলের জেলা নেতৃত্ব। এবার সেই জেলা নেতৃত্বের মুখে সরাসরি শোনা গেল হুঁশিয়ারির সুর।

আরও পড়ুনঃ অসহায় Google Chrome! ভারতীয় সংস্থার টার্গেট Google- এর দিকে?

মঙ্গলবার পাত্রসায়েরে দলের বিজয়া সম্মেলনীর মঞ্চ থেকে সুব্রত দত্ত স্পষ্টতই বলেন, “দলের পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি ও জেলা পরিষদের সদস্যরা যদি বিধানসভা নির্বাচন তাঁদের নয় ভেবে থাকেন, আর তা ভেবে যদি নিস্ক্রিয় থাকেন তাহলে তাঁদের কলম কেড়ে নিতে বেশি সময় লাগবে না। ব্লক সভাপতি সে কাজ না করলে আমি জেলা সভাপতি হিসাবে সেই কাজ করব”। এরপরই জেলা সভাপতির সংযোজন, “পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি ও জেলা পরিষদের কোনও সদস্য নিস্ক্রিয় থাকলে তাঁর সই করাও বন্ধ করে দেব। বদলে এলাকার দলীয় বুথ সভাপতিকে দায়িত্ব দেওয়া হবে। তাঁর সইয়ে পঞ্চায়েতের কাজ হবে”। নিজের এই বক্তব্যের সমর্থনে জেলা সভাপতি নিজের যুক্তিও দিয়েছেন। তাঁর মতে, দলনেত্রী মানুষের কাজ করার জন্য তাঁদের মনোনীত করেছিলেন। মানুষের কাজ করার জন্য দল তাঁদের জিতিয়ে সদস্য করেছে। তাই তাঁদের নিস্ক্রিয়তাকে দল কোনওভাবেই বরদাস্ত করবে না।

তবে এ নিয়ে তৃণমূলকে একহাত নিয়েছে পদ্ম শিবির। তোপ দেগেছেন সোনামুখীর বিজেপি বিধায়ক দিবাকর ঘরামি। তাঁর দাবি, এ রাজ্যে শাসক দল ও প্রশাসন এক হয়ে গিয়েছে। এই বক্তব্য তারই প্রমাণ। কটাক্ষের সুরেই তিনি বলছেন, “আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে সোনামুখী বিধানসভা-সহ বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলার প্রতিটি আসনে হার নিশ্চিত বুঝতে পেরে এখন তৃণমূলের জেলা সভাপতি এমন প্রলাপ বকছেন।”

এই মুহূর্তে

আরও পড়ুন