কুশল দাশগুপ্ত, শিলিগুড়িঃ
শ্রমিকের ‘ছদ্মবেশে’ বাগডোগরার ব্যাঙডুবি সেনা ছাউনিতে ঢোকার চেষ্টা। এক বাংলাদেশিকে গ্রেপ্তার করল বাগডোগরা থানার পুলিশ। ধৃতের নাম নন্দ মণ্ডল। দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় ধৃত ওই ব্যক্তিকে। জিজ্ঞাসাবাদে একাধিক অসঙ্গতি পান পুলিশ আধিকারিকরা। শুধু তাই নয়, কোনও বৈধ নথিও ধৃত নন্দ মণ্ডল দেখাতে পারেননি বলে দাবি পুলিশের। এরপরেই তাঁকে গ্রেপ্তার করে শিলিগুড়ির বাগডোগরা থানা। তবে পরিচয় লুকিয়ে শ্রমিকের ‘ছদ্মবেশে’ কেন সে সেনা ছাউনিতে ঢোকার চেষ্টা করছিল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। গুপ্তচরবৃত্তি নাকি নাশকতার কোনও ছক! তা নিয়ে তৈরি হয়েছে রহস্য। যদিও সেনা পুলিশ এবং গোয়েন্দারা দফায় দফায় ধৃত ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে।
আরও পরুনঃ ‘যতক্ষণ না বাংলার সব মানুষ ফর্ম ফিলাপ করবেন আমিও করব না’, জানালেন মমতা
পুলিশ সূত্রে খবর, বাগডোগরার ব্যাঙডুবি সেনা ছাউনিতে নির্মাণ সংক্রান্ত বেশ কিছু কাজ চলছে। সেই কাজের জন্য এদিন সকালে ক্যাম্পে পৌঁছন বেশ কয়েকজন শ্রমিক। জানা যায়, শিলিগুড়ির এক ঠিকাদার সংস্থা সেনা ক্যাম্পে কাজের বরাত পায়। সেই ঠিকাদার সংস্থার হয়েই এদিন সকালে কাজে যান শ্রমিকরা।
কিন্তু ধৃত নন্দ মণ্ডলের গতিবিধি এবং কথাবার্তায় সন্দেহ তৈরি হয় কর্তব্যরত জওয়ানদের। প্রথমে তাঁকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই সামনে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। সেনা আধিকারিকরা জানতে পারেন, নন্দ মণ্ডল আদৌতে বাংলাদেশি। এরপরেই তাঁকে আটক করে বাগডোগরা পুলিশের হাতে তুলে দেয় সেনা।
আরও পড়ুনঃ ২১ নম্বর আর এন মুখার্জি রোড, ঘিঞ্জি এলাকা, ধোঁয়ায় দৃশ্যমানতা শূন্য; ডালহৌসিতে বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ড
বলে রাখা প্রয়োজন, এহেন ঘটনা নতুন নয়! গত ২৮ মে ভোর পাঁচটা নাগাদ ব্যাংডুবির এমিইএস মোড়ে সন্দেহজনকভাবে ঘোরাফেরা করতে দেখে এক ব্যক্তিকে আটক করে সেনা জওয়ানরা। জিজ্ঞাসাবাদ করতে জানা যায় ওই ব্যক্তি বাংলাদেশের নাগরিক। এরপর ফের এক বাংলাদেশি নির্মাণ কর্মীর ছদ্মবেশে সেনা ছাউনিতে কর্মরত অবস্থায় গ্রেপ্তার হতে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
উল্লেখ্য, ভৌগলিক দিক থেকে খুবই গুরুত্বপূর্ণ শিলিগুড়ি শহর। শিলিগুড়ি তো বটেই মাটিগাড়া, নকশালবাড়ি, ফাঁসিদেওয়া, চোপড়া ও ইসলামপুরের কিছু অংশকে নিয়ে রয়েছে ‘চিকেনস নেক’। যাকে শিলিগুড়ি করিডরও বলা হয়। অত্যন্ত স্পর্শকাতর এলাকা এটি। সম্প্রতি গোয়েন্দারা সতর্ক করে জানান, শিলিগুড়ি করিডরের অনতিদূরে বাংলাদেশের রংপুর ডিভিশনের লালমনিরহাটে এয়ারবেস বানাচ্ছে চিন। যা নিয়ে সতর্ক কেন্দ্র এবং রাজ্যও। শুধু তাই নয়, জঙ্গিদের টার্গেটেও রয়েছেন এই এলাকা। এই বিষয়ে আগেই সতর্ক করে রাজ্য পুলিশও। এর মধ্যেই এই ঘটনায় বেড়েছে উদ্বেগ।





