Wednesday, 25 June, 2025
25 June, 2025
HomeহুগলীTarakeswar: চরম পর্যায়ে দুই পক্ষের বিবাদ! তারকেশ্বর সন্তোষপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত তেঘড়ি...

Tarakeswar: চরম পর্যায়ে দুই পক্ষের বিবাদ! তারকেশ্বর সন্তোষপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত তেঘড়ি গ্রামে

জানা যাচ্ছে দীর্ঘদিনের পুরোনো একটি কালীমন্দিরের দখলকে কেন্দ্ৰ করে বেশ কয়েক বছর ধরে গ্রাম স্বেচ্ছাসেবক কমিটি এবং সেবাইতদের মধ্যে বিবাদ চলছিল।

অনেক কম খরচে ভিডিও এডিটিং, ফটো এডিটিং, ব্যানার ডিজাইনিং, ওয়েবসাইট ডিজাইনিং এবং মার্কেটিং এর সমস্ত রকম সার্ভিস পান আমাদের থেকে। আমাদের (বঙ্গবার্তার) উদ্যোগ - BB Tech Support. যোগাযোগ - +91 9836137343.

সাহেব দাস; তারকেশ্বর:

প্রসঙ্গত ভাবে জানা যাচ্ছে দীর্ঘদিনের পুরোনো একটি কালীমন্দিরের দখলকে কেন্দ্ৰ করে বেশ কয়েক বছর ধরে গ্রাম স্বেচ্ছাসেবক কমিটি এবং সেবাইতদের মধ্যে বিবাদ চলছিল। সেবাইতদের অভিযোগ, শুধু বাৎসরিক পুজোর সময় এক দিনের জন্য গ্রামের পাঁচ-সাত জনকে দায়িত্ব দেওয়া হত। কিন্তু সেই পুজোর আয়-ব্যয়ের কোনও হিসেব কেউ পেত না। সেবাইতদের অভিযোগ, মন্দিরের দায়িত্ব ছেড়ে দেওয়ার জন্য নানা রকম ভাবে তাঁদের উপর চাপ সৃষ্টি করত গ্রাম স্বেচ্ছাসেবক কমিটির বেশ কয়েকজন সদস্য। এই সময় কালে সামাল দিতে হস্তক্ষেপ করতে হয় স্থানীয় প্রশাসনকে। তখনকার মত কিছু সময় স্থীতি হলেও। এরপরেই সেবাইতরা আদালতের দ্বারস্থ হন। একটি ট্রাস্ট গঠনের অনুমতি দেয় আদালত। আদালতের নির্দেশে সেবাইতরা ১৫ জনের একটি কমিটি তৈরি করেন। মন্দির এবং মন্দিরের সম্পত্তির দেখাশোনা করার দায়িত্ব পান সেবাইতরা। এরপর মন্দিরে বাৎসরিক পুজো সময় সেবাইতরা মন্দিরে প্রবেশ করেন পূজোর সাথে যুক্ত হন কিন্তু পরবর্তী কিছু সময় পর তাদেরকে মন্দির থেকে বেরিয়ে যেতে হয় প্রশাসনের নির্দেশে এমনই অভিযোগ তুলছেন সেবাইতরা।

আরও পড়ুন: বিতর্কের মাঝেই মাত্র ৪ দিনেই বিরাট রেকর্ড দিঘার জগন্নাথ মন্দিরে

তবে বলে রাখা ভালো এই বিবাদ এখনো পর্যন্ত সাধারণভাবেই চলছিল কারণ গত ২২/৫/২০২৪ সালে চন্দনগর সিনিয়র জর্জ আদালত একটি নির্দেশিকা জারি করেছিল যেখানে বলা ছিল বিবাদি পক্ষদের রেস্টেন্ড  করা হয়েছে। এবং সেবাইদ রাই নিত্য সেবা এবং বার্ষিক পূজার দায়িত্ব পালন করতে পারবেন। পাশাপাশি ২৬/৩/২০২৫ সালে আরেকটি নির্দেশে বলা হয়েছে তারকেশ্বর থানা বিষয়টি যেন গুরুত্ব দিয়ে দেখে এবং বিবাদী পক্ষরা কোনরকম সেবায়েত দের বাধা সৃষ্টি না করতে পারে সেই বিষয়টি পূর্ণাঙ্গ তথ্য আদালতের কাছে পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট জমা দেয়ার আদেশ দেওয়া আছে।

আরও পড়ুন: বহুগামিতাই পছন্দ; নারীদের সম্পত্তি অধিকারের বিরোধিতা করে প্রতিবাদ ঢাকায়

উল্লেখ্য ভাবে বলা যায় মহামান্য চন্দননগর আদালত পুরনো যে নির্দেশিকা ছিল সেটি এখনো পর্যন্ত বহাল রেখেছেন নতুন নির্দেশিকায়। কিন্তু সেবাইতদের আরও অভিযোগ আদালতের নির্দেশিকাকে অমান্য করে এখনো পর্যন্ত বিবাদী পক্ষ ও তাদের মনোনীত পুরোহিত মন্দিরের নিত্য পুজো সহ বাৎসরিক পুজোতে অংশগ্রহণ করে যাচ্ছেন জোরপূর্বক ভাবে। এমত অবস্থায় এখন যে বিষয়টি উঠে আসছে সেটি হল যেহেতু আর কয়েক দিনের মধ্যেই আবারো বাৎসরিক পুজো আসতে চলেছে তাই সেবাইতরা ঠিক করেন আদালতের যে নির্দেশ আছে সেই নির্দেশ অনুযায়ী যেন পুজোর সমস্ত দায় দায়িত্ব তারা পান তারই জন্য স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনকে বিষয়টা জানান। কিন্তু তারা কোনরকম সাহায্য করতে পারবেন না এমনটা বক্তব্য তাদেরকে জানিয়েছে বলেই দাবী করেন সেবাইত সদস্যরা। তাই তারা এখন অসহায় হয়ে দাঁড়িয়ে কি করবে ভেবে উঠতে পারছিলেন না তাই বাধ্য হয়ে শুক্রবার সন্ধ্যায় সাংবাদিক সম্মেলন করে তথ্য সহকারে জনগণ ও ভক্তদের উদ্দেশ্যে গোটা ঘটনার বর্ণনা দেন।

এই মুহূর্তে

আরও পড়ুন