মঙ্গলবার সকালে তীব্র ভূমিকম্প তিব্বতে। প্রাথমিক ভাবে জানা যাচ্ছে, নেপাল সীমান্তের কাছে এই ভূমিকম্পটি হয়েছে। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৭.১। মঙ্গলবার সকালে নেপাল-তিব্বত সীমান্তবর্তী অঞ্চলে এই ভূমিকম্পের জেরে রাজধানী দিল্লি থেকে শুরু করে বিহার এবং ভারত-নেপাল সীমান্তবর্তী অঞ্চলে টের পাওয়া গিয়েছে কম্পন। উত্তরবঙ্গের কিছু অঞ্চলেও মৃদু কম্পন অনুভূত হয়েছে। পাশাপাশি ভুটান এবং চিনের কিছু অঞ্চলেও কম্পন টের পাওয়া গিয়েছে বলে প্রাথমিক ভাবে জানা যাচ্ছে।
সাত সকালে ভয়াবহ ভূমিকম্প। মঙ্গলবার শীতের সকালে যখন ভাল করে ঘুম ভাঙেনি শহরবাসীর, তখনই আচমকা কেঁপে ওঠে কলকাতা ও আশপাশের এলাকা। শুধুমাত্র দক্ষিণবঙ্গ নয়, উত্তরবঙ্গেও অনুভূত হয়েছে প্রবল কম্পন। আতঙ্কে রাস্তায় নেমে পড়েন সাধারণ মানুষ। প্রায় ১ মিনিট ধরে অনুভূত হয় কম্পন। শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গে নয়, পড়শি রাজ্য বিহারেও ব্যাপক কম্পন অনুভূত হয়েছে।
আরও পড়ুন: Today’s Horoscope: আজ ৭ জানুয়ারি ২০২৫ মঙ্গলবার; আজ কোন কম্পন দেবে আপনাকে?
কলকাতা, উত্তর ২৪ পরগনা সহ দক্ষিণবঙ্গে জেলাগুলিতে কম্পন অনুভূত হয়েছে। অন্যদিক, জলপাইগুড়ি, শিলিগুড়ি, দার্জিলিং, দুই দিনাজপুরের মানুষ এদিন কম্পন অনুভব করতে পারেন। সাত সকালে ঠিক কী হয়েছে, তা বুঝে ওঠার আগে ভয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়েন অনেকে।
সূত্রের খবর, ভারত, নেপাল, ভুটান, বাংলাদেশ, এমনকী চিনও কেঁপে উঠেছে এই ভূমিকম্পে। কম্পন থেকেই অনুমান করা যাচ্ছে রিখটার স্কেলে এই ভূমিকম্পের মাত্রা অনেকটাই বেশি। প্রাথমিকভাবে জানা যাচ্ছে, এই ভূমিকম্পের উৎসস্থল নেপালে। রিখটার স্কেলে মাত্রা ৭ ছিল বলেও জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন: Kolkata: এইচএমপি ভাইরাসের থাবা এবার খাস কলকাতায়
উৎসস্থলে ক্ষয়ক্ষতি কতটা হয়েছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে ভূমিকম্পে প্রবল ক্ষতির অভিজ্ঞতা সদ্য কাটিয়ে উঠেছে নেপাল। ১০ বছর আগে অর্থাৎ ২০১৫ সালে ৭.৮ মাত্রার ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছিল নেপাল। ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল সে দেশের একটা বড় অংশ। কয়েক মিনিটের সেই কম্পনে প্রায় ৯,০০০ মানুষের মৃত্যু হয়েছিল, ২০ হাজারের বেশি মানুষ আহত হয়েছিলেন। সেই সময়েই কলকাতা সহ ভারতের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে অনুভূত হয়েছিল কম্পন।