সাত বছরের শিশুর শ্বাসনালীতে পেনের ঢাকনা ঢুকে গিয়েছিল। নেজ়াল এন্ডোস্কপি করে সেই ঢাকনা বের করলেন বর্ধমান মেডিক্যালের চিকিৎসকরা। সাধারণত শ্বাসনালীতে এই ধরনের জিনিস আটকে গেলে ব্রঙ্কোস্কপি করে তা বের করেন চিকিৎসকরা। কিন্তু সাত বছরের ওই শিশুর গলায় পেনের ঢাকনা এমন ভাবে আটকে গিয়েছিল যে, ব্রঙ্কোস্কপিতে কাজ হতো না, ওপেন লাং সার্জারি করতে হতো। ফুসফুসের এই অস্ত্রোপচারের পরিকাঠামো বর্ধমান মেডিক্যালে নেই। এ দিকে এই অবস্থায় শিশুকে অন্যত্র পাঠালে তার জীবনের ঝুঁকি বাড়ত। তাই শ্বাসনালীর পাশে গলায় ফুটো করে নেজাল এণ্ডোস্কোপি করে পেনের ঢাকনা বের করলেন বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসকরা।
গত ৭ ফেব্রুয়ারির ঘটনা। আরামবাগের হাজিপুরের সাত বছরের ছেলে বাবুলাল হোসেনের শ্বাসনালীতে পেনের ঢাকনা আটকে যায়। পরিবারের লোকজন তড়িঘড়ি আরামবাগ মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে গেলে সেখানে পেনের ঢাকনা বের করতে না পারায় পাঠিয়ে দেওয়া হয় বর্ধমান মেডিক্যালে।
বর্ধমান মেডিক্যালের এমএসভিপি তাপসকুমার ঘোষ বলেন, ‘আমাদের শ্বাসনালীর দু’টো ভাগ, রাইট ও লেফ্ট ব্রঙ্কাস। বাচ্চাটার বাঁ দিকের ব্রঙ্কাসে পেনের ঢাকনা আটকে যাওয়ায় শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। অক্সিজেনের অভাবে ছেলেটি একেবারে ফ্যাকাসে হয়ে যাচ্ছিল। ইএনটি বিশেষজ্ঞরা সঙ্গে সঙ্গে ওকে দেখে। ততক্ষণে ওর অবস্থা খারাপ হতে শুরু করে। ব্রঙ্কোস্কোপে লাভ হতো না, ওপেন লাং সার্জারি করতে হতো। তবে তা না করে আমাদের ডাক্তাররা অভিনব একটা উপায়ে বাচ্চাটিকে সুস্থ করে তুলল।’
আরও পড়ুন: Kiss Day: চুমু দিবসে সঙ্গীকে কাছে টানার আগে সতর্ক হোন
এমএসভিপি জানান, তাঁদের হাসপাতালে প্রথম বার এমন অস্ত্রোপচার হলো। চিকিৎসকরা ওপেন সার্জারি না করে নতুন পদ্ধতিতে অস্ত্রোপচার করেছেন। এই চিকিৎসার জন্য বিশেষজ্ঞদের একটি দল তৈরি করা হয়। তাঁদের মিলিত সিদ্ধান্তে নেজ়াল এন্ডোস্কপি করা হয় বাবুলালের। সে এখন স্থিতিশীল।