সাহেব দাস, তারকেশ্বর:
তৃণমূল নেতাকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত। শুধু তাই নয়, আরও বারোজন তৃণমূল নেতাকে আজীবন কারাবাসের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আর এই খবর শোনার পরই আনন্দে আত্মহারা জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। সাজার ঘটনা শোনা মাত্রই চলল মিষ্টি বিলি। দলেরই লোকজনের শাস্তি হওয়ায় কেন আনন্দ পাচ্ছেন বাকিরা? এই প্রশ্ন উঠতেই তৃণমূল নেতা শেখ সাকিমের সাফাই, সিপিএম নেতাদের সাজার জন্যই তাঁরা এই আনন্দ করছেন।
আরও পড়ুন: ম্যানেজিং কমিটি গঠন ঘিরে ঝামেলা, শিক্ষকদের হাতাহাতি
ঘটনা ২০১১ সালের ডিসেম্বরের। হুগলির গোঘাটে তৃণমূল নেতাকে গুলি করে খুনের ঘটনায় মঙ্গলবার সাজা ঘোষণা করেছে আরামবাগ আদালত। অভিযুক্তদের তালিকায় তৎকালীন সিপিএম,ফরোয়ার্ড ব্লক, তৃণমূল সকল দলের নেতাদের নাম থাকলেও বলদেব পাল নামে এক তৃণমূল নেতাকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত। সেই সঙ্গে বাকি যে ১৮ জনের আজীবন কারাবাসের সাজা শোনানো হয়েছে, তাতেও ১২ জন তৃণমূলেরই কর্মী। বাকী ৬ জন বামকর্মী। ১৯ জনকে দোষী সাব্যস্ত করার পাশাপাশি আরামবাগ আদালত সোমবারই এই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ থেকে ৫ সিপিএম নেতাকর্মী ও ২ জন তৃণমূল কর্মীকে মামলা থেকে অব্যাহতি দিয়েছে।
এ দিকে, খুনের ঘটনায় অধিকাংশ তৃণমূল নেতার শাস্তি হওয়ার পরেও তা নিয়ে এলাকায় মিষ্টিমুখ করতে দেখা গেল তৃণমূল নেতা শেখ সাকিম ও তাঁর অনুগামীদের। এই সাকিম আরামবাগ সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল সভাপতি রামেন্দু সিংহরায় ঘনিষ্ঠ। রীতিমতো দলের পতাকা নিয়ে স্লোগান তুলে নিজেদের মধ্যে ও পথচারীদের মধ্যে মিষ্টি আজ বিতরণ করছেন তিনি।
আরও পড়ুন: দিঘায় হোটেল ভাড়া বেশি নিলেই ১ লক্ষ টাকা জরিমানা, বিদ্যুৎ সংযোগও বিচ্ছিন্ন, হোটেলের অনুমোদন বাতিল
এদিকে, এই মিষ্টিবিলির ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই বিষয়টি যে দল ও আরামবাগের হেভিওয়েট নেতাদের জন্য বুমেরাং হয়ে উঠেছে তা আঁচ করেই মুখে কুলুপ এঁটেছে তৃণমূল। কারণ সাজাপ্রাপ্ত অনেক তৃণমূল নেতার সঙ্গে আরামবাগ সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের সভাপতি রামেন্দু সিংহ রায়ের ছবিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরছে।
তবে শেখ সাকিমের দাবি সিপিএম কর্মীদের সাজা হয়েছে সেই কারণেই তাঁরা মিষ্টি বিলি করছেন। তিনি বলেন, “তৃণমূল করি বলেই তো মিষ্টি মুখ করলাম। আমরা কোর্টের রায়ে খুশি হয়েছি। কারণ সিপিএম এর হার্মাদরা আমাদের নেতাকে মেরে ফেলেছিল। তাই আজকের এই রায়ের জন্য স্যালুট।” গোঘাট ১ নম্বর ব্লক তৃণমূলের সভাপতি সনজিৎ পাখিরা বলেন, “আমরা শহিদ পরিবারের পাশে ছিলাম। দোষীরা সাজা পেয়েছে আমরা খুশি””