সাহেব দাস, তারকেশ্বরঃ
শ্রাবণের শেষ সোমবারে ভক্তদের ঢল নেমেছিল তারকেশ্বরে। হুগলির আকাশে বাতাসে শুধু ‘হর হর মহাদেব’। বাঁক কাঁধে ভক্তরা আসছেন। শিবের মাথায় দুধ, গঙ্গাজল ঢালছেন। সঙ্গে জীবন্ত নন্দীর মাথাতেও। ভোলাও চুপটি করে ‘সেবা’ নিচ্ছে। কানে কানে মনস্কামনার কথাও জানিয়ে যাচ্ছেন কেউ কেউ। গঙ্গাজল, দুধ ঢালার পরে মায়া ভরা চোখে ভক্তের আপাদমস্তক একবার দেখে নিচ্ছে ভোলা। ওটাই যেন আশীর্বাদ।
আরও পড়ুনঃ ৭৯তম স্বাধীনতা দিবস; জলপাইগুড়িতে জাতীয় পতাকায় লক্ষ্মীলাভ দর্জিদের
তারকেশ্বরের মন্দিরে জীবন্ত নন্দীর অবাধ যাতায়াত। মন্দির খুললেই হাজির হয়ে যায়। নিজের মতো করে ঘোরে। ভক্তদের হাতে খায়। কেউ তাকে বিরক্ত করে না। সাক্ষাৎ মহাদেবের বাহন যে। কার সাহস হবে তাকে বিরক্ত করার।
তারকেশ্বর মন্দিরের সেবায়েত নির্মল মুখোপাধ্যায় আমাদের বঙ্গবার্তাকে বললেন, ‘ভোলা নিজের মতো আসে, নিজের মতো চলে যায়। অনেক সময়ে পুণ্যার্থীদের খুব ভিড় হয়। শিবের মাথায় অনেকে জল ঢালতে পারেন না। তখন ভোলার মাথাতেই জল ঢালে।’
আরও পড়ুনঃ ঘটনা এবার বাঁকুড়ায়! মাথায় তিন-চার রাউন্ড গুলি, খুন তৃণমূল নেতা
এ ভাবেই জীবন্ত নন্দীকে পুজো করেছেন বাসন্তী মালিক, প্রতিমা দেড়ে-রা। একসঙ্গে বললেন, ‘মাথায় গঙ্গাজল ঢেলেছি। পায়ে ফুল আর ফল অর্পণ করেছি। বাবার মন্দিরের সামনেই ‘নন্দীর’ বিগ্রহ রয়েছে। কিন্তু খুব ভিড়। তাই জীবন্ত নন্দীকে পুজো করলাম। পায়ে হাত দিয়ে প্রণামও করেছি।’