Monday, 3 November, 2025
3 November
Homeদক্ষিণবঙ্গTMC: বিজয়া সম্মিলনীর পর আবারো ছট পুজোর ফ্লেক্স নিয়ে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্ধ প্রকাশ্যে...

TMC: বিজয়া সম্মিলনীর পর আবারো ছট পুজোর ফ্লেক্স নিয়ে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্ধ প্রকাশ্যে চুঁচুড়ায়

ছট পুজোর শুভেচ্ছা জানাতে হুগলি চুঁচুড়া শহর তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে হিন্দিতে শুভেচ্ছা বার্তা লেখা ফ্লেক্স লাগানো হয়েছে প্রতিটি গঙ্গার ঘাটে। এবার সেই ফ্লেক্স নিয়েই উঠল বিতর্ক।

অনেক কম খরচে ভিডিও এডিটিং, ফটো এডিটিং, ব্যানার ডিজাইনিং, ওয়েবসাইট ডিজাইনিং এবং মার্কেটিং এর সমস্ত রকম সার্ভিস পান আমাদের থেকে। আমাদের (বঙ্গবার্তার) উদ্যোগ - BB Tech Support. যোগাযোগ - +91 9836137343.

হুগলি:

চুঁচুড়া শহরে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব এখন নতুন কিছু নয়। প্রতিটি পদক্ষেপেই সেই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এসে পড়ছে। চুঁচুড়া শহরে তৃণমূলের অন্দরে কান পাতলেই শোনা যায় বিধায়ক ও হুগলী চুঁচুড়া পৌরসভার পৌর প্রধানের মধ্যে দ্বন্দ্বের কথা। চুঁচুড়া শহরে তৃণমূলের মধ্যে দুটি ভাগ হয়ে গিয়েছে। একদিকে রয়েছে বিধায়ক অসিত মজুমদার। তার সঙ্গে রয়েছেন পৌরসভার পৌর প্রধান সহ একাধিক কাউন্সিলার। আর পৌর প্রধান অমিত রায়ের সঙ্গে রয়েছেন গুটিকয়েক কাউন্সিলর। বিধায়কের কোন কর্মসূচিতেই এই অমিত গোষ্ঠীর কারুর দেখা মেলে না ঠিক উল্টোটা অমিত গোষ্ঠীর কোন কর্মসূচিতে দেখা মেলে না বিধায়ক ও তার অনুগামীদের।

আরও পড়ুনঃ জারি বিজ্ঞপ্তি; গেট বন্ধ রবীন্দ্র সরোবরের! গেট টপকেও আর ঢোকা যাবে না

কিছুদিন আগে হুগলি লোকসভার সাংসদ রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় ও চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদারের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এসেছিল। যা নিয়ে দলকে অস্বস্তিতে পড়তে হয়েছিল। এই দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে আসতেই অমিত গোষ্ঠীর অনুগামী তথা হুগলি চুঁচুড়া পৌরসভার ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জী বিধায়কের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে মুখ খুলে ছিলেন। সম্প্রতি তৃণমূলের পক্ষ থেকে টাউন ও ব্লক স্তরে দলের বিভিন্ন সংগঠনের সভাপতি সহ-সভাপতিদের নাম ঘোষণা করে। হুগলি চুঁচুড়া শহর তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি এর দায়িত্ব পান পৌরসভার কাউন্সিলর তথা অমিত অনুগামী শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জী‌ আর সহ-সভাপতির দায়িত্ব পান অসিত অনুগামী তথা পৌরসভার প্রাক্তন কাউন্সিলার সঞ্জয় পাল।

শারদ উৎসবের পর হুগলী চুঁচুড়া শহর তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে আয়োজন করা হয়েছিল বিজয়া সম্মিলনীর। সেই বিজয়া সম্মিলনীর জন্য শহরের একাধিক জায়গায় লাগানো হয়েছিল বড় বড় হোডিং। সেই হোডিং এ ছবি ছিল না চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদারের। জানিয়ে দলের অন্দরে শুরু হয়েছিল গুঞ্জন। তবে দলের চাপে বিজয়া সম্মিলনীর মঞ্চের ফ্লেক্সে অবশেষে রাখতে হয়েছিল বিধায়কের ছবি। ছবি লাগালেও বিজয়া সম্মিলনীর মঞ্চে দেখা যায়নি বিধায়ক কে। শুধু বিধায়কই নয় বিধায়কের অনুগামী কোন কাউন্সিলরকেই দেখা যায়নি ওই দিনের অনুষ্ঠানে। আগামীকাল থেকে ছট পুজো শুরু। হুগলী-চুঁচুড়া পৌরসভার অন্তর্গত সমস্ত গঙ্গার ঘাট গুলিতে এই হিন্দিভাষী মানুষরা ছট পুজোর জন্য আসবে। তাই তাদের ছাট পুজোর শুভেচ্ছা জানাতে হুগলি চুঁচুড়া শহর তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে হিন্দিতে শুভেচ্ছা বার্তা লেখা ফ্লেক্স লাগানো হয়েছে প্রতিটি গঙ্গার ঘাটে। এবার সেই ফ্লেক্স নিয়েই উঠল বিতর্ক। ফ্লেক্সে মমতা বন্দোপাধ্যায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় রচনা ব্যানার্জি ও বিধায়ক অসিত মজুমদারের ছবির পাশাপাশি সহ-সভাপতি সঞ্জয় পাল সহ বিধায়ক অনুগামী কাউন্সিলরদের ছবি রয়েছে। তবে সেই ফ্লেক্সে ছবি নেই হুগলী চুঁচুড়া শহর তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জী। এখন প্রশ্ন উঠেছে তাহলে কি বিজয়া সম্মিলনীর পাল্টা এই ছট পুজোর ফ্লেক্স?

আরও পড়ুনঃ হাওড়া থেকে শেওড়াফুলি তারস্বরে ভোজপুরি গান? তুঘলকি আচরণ রেলের, ক্ষুব্ধ বাংলা পক্ষ, জাতীয় বাংলা পরিষদ থেকে যাত্রীরা

এ প্রসঙ্গে সঞ্জয় পাল বলেন আমার বিষয়টি জানা নেই। আপনাদের কাছ থেকেই শুনলাম। হয়তো কর্মীরা আবেগ তাড়িত হয়ে লাগিয়েছে। তবে এখনো পর্যন্ত আমি দেখিনি কার ছবি আছে আর কার ছবি নেই। হয়তো কারুর ছবি মিসিং হয়ে গেছে। বিষয়টি আমি দেখব।

হুগলি চুঁচুড়া শহর তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জী বলেন। শুনলাম ঘাট গুলিতে একটা ফ্লেক্স পড়েছে। সেখানে শুধু আমার ছবি নয় অন্যান্য অনেক কাউন্সিলর এর ছবি নেই সেখানে। যেই এসব করে থাকুক আমাদের নিজেদের মধ্যে ভুল বার্তা যাচ্ছে একটা।

এই মুহূর্তে

আরও পড়ুন