ফের একবার বাংলাদেশে ধরা পড়ল ৫ই অগস্টের ছবি। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ ছাড়ার পর ঠিক যেভাবে কট্টরপন্থীদের উল্লাস ধরা পড়েছিল, তেমনভাবেই ফের নতুন করে সেই অস্থিরতা দেখা গেল বুধবার। এবার হামলাকারীদের হাত থেকে রক্ষা পেল না বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতি বিজড়িত বাড়িও। ধানমন্ডিতে বঙ্গবন্ধুর বাড়িতে বুধবার হামলা চালায় হাসিনা বিরোধী বিক্ষোভকারীরা। বাড়ি ভাঙচুর করা হয়। পুড়িয়ে দেওয়া হয় বই। নতুন করে অশান্তি তৈরি হয়েছে সেখানে। আর সেই অশান্তির আঁচ নতুন করে এ দেশ তথা এ রাজ্যে পড়তে পারে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এর আগে বাংলাদেশে অশান্তির পর থেকে ভারতে ক্রমেই বাড়াছিল অনুপ্রবেশের চেষ্টা। সেই অনুপ্রবেশ রুখতে তৎপর ছিলেন বিএসএফ জওয়ানরা। প্রায় প্রতিদিনই বিএসএফ আধিকারিকরা অনুপ্রবেশ রুখে চলেছেন। কখনও বা পাচারকারীদের প্রচেষ্টা ব্যর্থ করছেন। এখন নতুন করে এই অশান্তির পরিস্থিতি তৈরি হতেই সীমান্তগুলিতে আরও সতর্ক বিএসএফ। আধিকারিকরা তৈরি হচ্ছেন যে কোনও পরিস্থিতির সঙ্গে মোকাবিলা জন্য। অনুপ্রবেশ রুখতে সদা-সতর্ক রয়ছেন তাঁরা।
আরও পড়ুন: House No 32: গায়ে ফোস্কা মৌলবাদীদের
এর আগেই বাংলাদেশের কট্টরপন্থীরা ভারত-বিদ্বেষী স্লোগান দিয়েছে। সে দেশের একাংশ ব্যক্তিদের টার্গেটে বরাবরই থাকে ভারতের সীমান্ত। এবং সেখানে অস্থিরতা তৈরি করা। বিশেষ করে উত্তর পূর্ব ভারতের চিকেনস-নেককেই টার্গেট করে তারা। এর আগেও একাধিকবার হুমকি এসেছে। কারণ, এই এলাকায় অস্থিরতা তৈরি করতে সক্ষম হলে উত্তর-পূর্ব ভারতের বিভিন্ন রাজ্যগুলিতেও তার প্রভাব পড়বে। শুধু তাই নয়, এই অশান্তির জেরে অনুপ্রবেশ চেষ্টাও আরও বাড়তে পারে বলে মনে করছে ভারতের গোয়েন্দা বিভাগ।
আরও পড়ুন: House No 32: এ কোন উল্লাস! শেখ হাউস থেকে সুধা সদন-জ্বালিয়ে সব দিল পুড়িয়ে
ফলে নতুন করে বাংলাদেশের পরিস্থিতি খারাপ হতেই এই অঞ্চলকে বাড়তি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রস্তুত হচ্ছে বিএসএফ। তাদের পাশাপাশি ভারতের গোয়েন্দা সংস্থাও গোটা পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছে।