সৌরভ দত্ত, কলকাতা:
দিনের পর দিন কলকাতার মা উড়ালপুলে বাইকারোহীদের দৌরাত্ম্য বাড়ছে। গতির নেশায় একের পর এক দুর্ঘটনা ঘটছে। গত রবিবার সাতসকালে মা উড়ালপুলে দুর্ঘটনায় দুই বাইকারোহীর মৃত্যু হয়। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ডিভাইডারে ধাক্কা মেরে বাইক-সহ দুই আরোহী উড়ালপুল থেকে নিচে পড়ে যান। এর আগে উড়ালপুলে রাতে বাইক রেসিং চলত। রেসিং রুখতে রাত ১০টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত বাইক নিষিদ্ধ করা হয়।
আরও পড়ুন: NBSTC Bus Coachbihar: কোচবিহারে যাত্রা শুরু এন বি এস টি সির
কলকাতা পুলিশের ট্র্যাফিক বিভাগ সূত্রে খবর, সকাল ছয়টা থেকে বাইকগুলোতে ছাড় দেওয়া ছিল। এত সকালে উড়ালপুলে গাড়ির চাপ কম থাকে। যে কারণে বাইকগুলোর গতি অনেক বেড়ে যায়। মা উড়ালপুলে গতি টানতে স্পিড লিমিট রয়েছে। কিন্তু বাইকারোহীরা তার তোয়াক্কা করছেন না। যার ফলে দুর্ঘটনা ঘটছে। সকাল সাতটার পর রাস্তায় গাড়ির চাপ বাড়তে থাকে। মা উড়ালপুলও ব্যস্ত থাকে। ফলে বাইকের গতি নিয়ন্ত্রণে রাখা যাবে।মা উড়ালপুলে বাইক চলাচলের সময় কমানো হল। রাত দশটা থেকে সকাল ছয়টা পর্যন্ত মা উড়ালপুলে বাইক নিষিদ্ধ ছিল। এখন এই সময়সীমা বাড়ানো হল। এখন সকাল সাতটার পর থেকে মা ফ্লাইওভার ব্যবহার করতে পারবেন বাইকারোহীরা। দুর্ঘটনা রুখতে লালবাজার ট্রাফিক বিভাগ এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
আরও পড়ুন: The Rock City of Darjeeling: কাঞ্চনজঙ্ঘার সৌন্দর্য উপভোগ করতে পর্যটকদের ঢল
চিংড়িহাটায় গাড়ির চাপ কমাতে স্টলগুলোকে অন্যত্রে সরানোর ভাবনা রয়েছে লালবাজার কর্তৃপক্ষের। কলকাতা পুলিশ কমিশনার মনোজ ভার্মা বলেন, চিংড়িহাটা ক্রসিংয়ে গাড়ির চাপ রয়েছে। যানযট বাড়ছে। সকাল সন্ধে এই অঞ্চলের ট্রাফিক নিয়ে অভিযোগ আসছে। যানজট মুক্ত করতে চিংড়িহাটা থেকে মা উড়ালপুলের দিকে কিছু স্টলকে বিকল্প ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে। লোহাপোল থেকে মেট্রোপলিটন পর্যন্ত উড়ালপুল হবে। সেখানে এখন মেট্রোর কাজ চলছে। পথচারীদের জন্য আন্ডারপাস তৈরি করা হবে। সোমবার এই প্রকল্পগুলো দেখতে আসেন নগরপাল।