Tuesday, 8 July, 2025
8 July, 2025
HomeহুগলীHooghly: সেজেগুজে ফিরল শতাব্দীপ্রাচীন শ্রীরামপুর-সল্টলেক ৩ নম্বর বাস

Hooghly: সেজেগুজে ফিরল শতাব্দীপ্রাচীন শ্রীরামপুর-সল্টলেক ৩ নম্বর বাস

শতাব্দীপ্রাচীন ৩ নম্বর রুটে একটি মাত্র বাস সংখ্যাতত্ত্বের বিচারে নগণ্য হলেও, কলকাতার ট্রামের মতোই ৩ নম্বর রুটের বাসের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে বিরাট অংশের মানুষের ভাবাবেগ।

অনেক কম খরচে ভিডিও এডিটিং, ফটো এডিটিং, ব্যানার ডিজাইনিং, ওয়েবসাইট ডিজাইনিং এবং মার্কেটিং এর সমস্ত রকম সার্ভিস পান আমাদের থেকে। আমাদের (বঙ্গবার্তার) উদ্যোগ - BB Tech Support. যোগাযোগ - +91 9836137343.

পরাধীন ভারতে সড়কপথে যাত্রিবাহী বাসে সফরের স্মৃতি উস্কে দিয়ে, ফের নতুন করে পথচলা শুরু করল শ্রীরামপুর থেকে বাগবাজার ভায়া সল্টলেক করুণাময়ী ৩ নম্বর রুটের বাস।

শনিবার উল্টো রথের দিন, নব কলেবরে সেজে ওঠা একশো বছরের দোরগোড়ায় থাকা নতুন ৩ নম্বর বাস শ্রীরামপুর আদালত চত্বর থেকে মাহেশ, রিষড়া, কোন্নগর, উত্তরপাড়া ছাড়িয়ে বাগবাজার হয়ে ভায়া সল্টলেক করুণাময়ী পৌঁছে গিয়েছে।

শতাব্দীপ্রাচীন ৩ নম্বর রুটে একটি মাত্র বাস সংখ্যাতত্ত্বের বিচারে নগণ্য হলেও, কলকাতার ট্রামের মতোই ৩ নম্বর রুটের বাসের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে বিরাট অংশের মানুষের ভাবাবেগ।

আরও পড়ুন: শুনেছেন কি ছাতা দিয়ে ব্যান্ডেজ! কলকাতা ফুটবল আজও মান্ধাতা আমলে পড়ে

সড়কপথের স্বাচ্ছন্দ্যের কথা ভেবেই, রাজ্যের পরিবহণ দপ্তরের সহযোগিতায়, বাসের খোলনলচে বদলে, আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে ৩ নম্বর রুটে নতুন বাস নামিয়েছেন রাজু সামন্ত। উত্তরপাড়া ভদ্রকালীর বাসিন্দা রাজু একাধারে বাস মালিক আবার বাস চালকও।

এ দিন নতুন চেহারায় সেজে ওঠা ৩ নম্বর রুটের বাস চালাতে চালাতে রাজু বলেন, ‘একটা সময়ে ৩ নম্বর বাস ছিল জেলার সঙ্গে কলকাতার সংযোগ রক্ষার একমাত্র লাইফলাইন। তারপর এলো ট্যাক্সি, অটো আর এখন টোটো।

আস্তে আস্তে বাসের ব্যবসায় লোকসান হতে শুরু করল। বাস মালিকরা বাসের ব্যবসা ছেড়ে অন্যান্য ব্যবসা করতে শুরু করলেন। কেউ কেউ পুরোনো ব্যবসা আঁকড়ে ধরেছিলেন। কিন্তু লোকসানে ব্যবসা ডুবে যায়। তবে আমি আন্তরিক ভাবে একশো বছরের পুরোনো রুটকে বাঁচিয়ে রাখার লড়াই শুরু করেছি।

শ্রীরামপুর থেকে শ্যামবাজার, করুণাময়ী হয়ে প্রতিদিন চার বার যাওয়া-আসা করার ইচ্ছে আছে। বাসের ভাড়া ৫০ থেকে ৬০ টাকার মধ্যে থাকবে। সরকারি তালিকা পাইনি। আশা করছি, ৩ নম্বর রুটকে বাঁচিয়ে রাখতে সফল হব।’

আরও পড়ুন: অঙ্গদানে নজির বাংলার, প্রতিস্থাপনের অপেক্ষায় আরও ৯৬৫ রোগী

৩ নম্বর রুটের এক সময়ের বাসমালিক সংগঠনের জীবন পাল বলেন, ‘১৯২৬ সালে রেল কর্তৃপক্ষ শ্রীরামপুরের কিছু বিশিষ্ট জনকে ডেকে বলেন, মফস্‌সলের মানুষ যাতে সহজেই শহরে যাতায়াত করতে পারেন, সে জন্য আপনারা কিছু করুন। রেল আপনাদের সাহায্য করবে।

রেলের প্রস্তাব পেয়েই দীনবন্ধু ধর, সৌমেন্দু মোহন চৌধুরী, ননীভূষণ সেনগুপ্ত, সতীনাথ মুখোপাধ্যায়, ইলু পাল, গোলকানন্দ শ্রীমানি, মিহির কিরণ ভট্টাচার্যরা ৩ নম্বর রুটে বাস চালু করেন। শ্রীরামপুর স্টেশন লাগোয়া বাসস্ট্যান্ড তৈরি হয়।

বাসস্ট্যান্ডের জন্য জমি লিজ় দেয় রেল। প্রথমে শ্রীরামপুর থেকে বালিখাল, পরে ডানলপ, শেষে বাগবাজার ও বেশ কয়েকটি বাস সল্টলেকে যেত। নামমাত্র ভাড়ায় বহু মানুষের সঙ্গী ছিল ৩ নম্বর বাস।

পরাধীন ভারতের অনেক বিপ্লবী ৩ নম্বর বাসে যাতায়াত করেছেন। ২০১০ সালে ৬৯টি বাস ছিল। তার পরে বাসের সংখ্যা কমতে কমতে ২২টি ও ২০২০ সালে ৫টি, বর্তমানে ১টি বাস নতুন করে যাত্রা শুরু করল।’

এই মুহূর্তে

আরও পড়ুন