দেশের নৌসেনার শক্তি বাড়ল আরও। শত্রুদের সামনে আরও পরাক্রমী হয়ে উঠল ভারতীয় নৌবাহিনী। তাদের হাতে এবার এল আইএনএস হিমগিরি। ব্রহ্মস ও বারাক মিসাইল বহনকারী এই স্টেলথ যুদ্ধজাহাজ নৌবাহিনীর হাতে তুলে দিল গার্ডেনরিচ শিপবিল্ডার্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ার্স।
আইএনএস হিমগিরির হাত ধরে ভারতীয় নৌবাহিনী আরও শক্তিশালী হওয়ার পথে অনেকটাই এগিয়ে গেল। আর তাতেই সাহায্য করল গার্ডেনরিচ শিপবিল্ডার্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ার্স। দেশের সবথেকে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি স্টেলথ ফ্রিগেট নৌবাহিনীর হাতে তুলে দিল জিআরএসই। ব্রহ্মস মিসাইল এবং বারাক মিসাইল যুক্ত এই ফ্রিগেট নৌবাহিনীকে সবদিক থেকে সমৃদ্ধ করল বলেই মনে করছেন সামরিকবিশারদরা।
আইএনএস হিমগিরি ভারতীয় নৌবাহিনীর হাতে নীলগিরি ক্লাসের প্রথম ফ্রিগেট। গার্ডেনরিচ শিপইয়ার্ডে নির্মিত এই ফ্রিগেট বৃহস্পতিবার আনুষ্ঠানিকভাবে ভারতীয় নৌবাহিনীর হাতে তুলে দেওয়া হল। এটি P17A ফ্রিগেট সিরিজের অধীনে নির্মিত এবং ভারতের দ্বিতীয় ৬৬৭০টনের নীলগিরি ক্লাসের যুদ্ধজাহাজ।
আরও পড়ুনঃ ফের এক দুঃসংবাদ! রবিবার বন্ধ থাকছে হাওড়া ময়দান-এসপ্ল্যানেড মেট্রো পরিষেবা
সুপারস্ট্রাকচার জিওমেট্রিক স্টেলথ প্রযুক্তিতে নির্মিত এই যুদ্ধজাহাজ। যার ফলে এটি শত্রুপক্ষের র্যাডারে ধরা পড়ার সম্ভাবনা কম।
১) MF-STAR AESA র্যাডার: Fire control এবং primary tracking–এর জন্য ব্যবহৃত এই মাল্টি-ফাংশন ফেজড অ্যারে র্যাডার অত্যন্ত উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন। ২) Lanza-N র্যাডার (L-Band): Long-range surveillance র্যাডার, বিশেষ করে low-RCS টার্গেটকে দূর থেকে ডিটেক্ট করার জন্যই তৈরি। ৩) HUMSA-NG : DRDO নির্মিত এই সোনার সাবমেরিন হান্টিং-এ হল জাহাজটির মূল চোখ ও কান।
ইলেকট্রনিক ওয়ারফেস ও ডিকয় প্রোটেকশন (Electronic Warfare ও Decoy Protection): ১) Shakti EW Suite – শত্রুর র্যাডার ও কমিউনিকেশন জ্যাম করার জন্য ব্যবহার করা হবে। ২) Kavach & Mareech Systems – অ্যাক্টিভ decoy লঞ্চার, যা incoming anti-ship missile বা টর্পেডো বিভ্রান্ত করতে ব্যবহৃত হয়।
এই অত্যাধুনিক যুদ্ধ জাহাজে বহন করা যাবে- * ৮ × ব্রহ্মস সুপারসনিক ক্রুজ মিসাইল। * ৩২ × Barak-8 LR-SAM (Medium to Long-range SAM) – শত্রু বিমান ও মিসাইলকে প্রতিহত করার জন্য * ১ × 76mm Super Rapid Gun Mount (SRGM) – মাঝারি পাল্লার নৌ ও বিমান টার্গেটের বিরুদ্ধে * টর্পেডো লঞ্চার ও রকেট ডেপথ চার্জার – সাবমেরিন হান্টিং-এ কার্যকর * ২ × AK-630ম CIWS (Close-In Weapon System) – শেষ মুহূর্তে incoming missile বা বিমান থামানোর জন্য * ৬× ৫৩৩এমএম টর্পেডো টিউব * ২ × RBU 6000 রকেট লঞ্চার আছে।
আরও পড়ুনঃ ‘বাঙালিদের উপর অত্যাচারে আপত্তি থাকবেই’, ‘প্রতীচী’তে সরব অমর্ত্য
Combined Diesel and Gas (CODAG) সিস্টেমে চালিত এই যুদ্ধজাহাজ প্রায় ৩০ নটিক্যাল মাইল/ঘণ্টা গতিতে চলতে সক্ষম।
হিমগিরি মূলত মাল্টি ডাইমেনশনাল ক্ষমতার ফ্রিগেট, যা সমুদ্র সীমার সুরক্ষা, বিমান হামলা প্রতিহত, সাবমেরিন হান্টিং, ও সমুদ্রে স্ট্রাইক অপারেশনে ব্যবহৃত হবে।