দুর্গাপুজো মানে যেমন শহর কলকাতা, কালীপুজো মানেই বারাসত-নৈহাটি, তেমনই জগদ্ধাত্রী পুজো বললেই সবার আগে মনে পড়ে কৃষ্ণনগর-চন্দননগরের কথা। নিটোল মুখের বিশালাকার প্রতিমা, ডাকের সাজ আর চোখ ধাঁধানো আলোকসজ্জা, জগদ্ধাত্রী পুজোর এটাই তো আমেজ। তবে যারা কৃষ্ণনগর বা চন্দননগরে যেতে পারবেন না তারা কি বঞ্চিত হবেন এই আমেজ থেকে? মোটেই না। খাস কলকাতাতেই রয়েছে অনেক জগদ্ধাত্রী পুজো। রইল তার কয়েকটার হদিশ।
আরও পড়ুনঃ চন্দননগর বা কৃষ্ণনগর নয়, কোচবিহারের মদনমোহন মন্দির জগদ্ধাত্রীর আবাহনের জন্য প্রস্তুত
কলেজ স্ট্রিটের এলাকার মদন গোপাল দের বাড়ির পুজো– চন্দননগর থেকে শুরু হয়েছিল এই পুজো।

তবে পরিবারের পৈতৃক ভিটেতে এখনও বৈষ্ণব রীতিতে হয় জগদ্ধাত্রী পুজো। শোনা যায়, স্বপ্নাদেশ পেয়ে পুজো শুরু করেছিলেন মদন গোপাল দে। প্রায় ১৩০ বছরের পুরনো এই পুজোয় এখনও চালু রয়েছে ধুনো পোড়ানোর প্রথা।
চোরবাগান মৈত্র বাটির পুজো– কথিত আছে, স্বয়ং ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর নাকি এই বাড়ির নামকরণ করেছিলেন। মায়ের পুজো এখানে প্রায় ২৫০ বছরের পুরনো।

মাঝে একবার মাত্র পুজো বন্ধ ছিল বলে শোনা যায়। এই বাড়ির পুজোয় মা জগদ্ধাত্রীর দুপাশে জয়া এবং বিজয়ার মূর্তি দেখা যায়।
দুর্গাচরণ মিত্রের পুজো– এখানে দেবী জগদ্ধাত্রী পূজিত হন শাক্ত রীতিতে। আগে এখানে বলিদানের প্রথাও ছিল, যদিও বর্তমানে তা বন্ধ। সেই ১৭৫২ সালে এই বাড়িতে শুরু হয় জগদ্ধাত্রী পুজো।
এখানে মায়ের মুখের রঙ শিউলি ফুলের কাণ্ডের মতো, দেবীর বাহন সিংহও ঘোটকমুখী।
আরও পড়ুনঃ পরমাসুন্দরী চতুর্ভুজা, আদ্যাশক্তি মহামায়া, জগতের ধারক; তবে দেবীর পায়ের নিচে কাটা হাতির মুণ্ড কেন?
ছাতুবাবু ও লাটুবাবুর বাড়ির পুজো– দুর্গাপুজোর জন্য জনপ্রিয় এই বনেদি বাড়িতে প্রায় ২০০ বছর ধরে হচ্ছে জগদ্ধাত্রী পুজো।

কাঠের সিংহাসনে আসীন অবস্থায় রয়েছেন মা। এখানে তান্ত্রিক মতে পুজো হয়। তবে ভোগ হয় নিরামিষ।
৫৩ বছরের বলদেওপাড়া রোড-এর রবীন্দ্র স্মৃতি সংঘ– উত্তর কলকাতার মানিকতলা এলাকার বলদেওপাড়া রোড-এর রবীন্দ্র স্মৃতি সংঘ-র পুজো এই বছর ৫৩ বছরে পা দিল।

ছোট পুজো হলেও এখানকার আন্তরিকতা দেখার মতো। একবার চট করে দেখে আসতে পারেন এখানকার পুজো।
এ ছারাও দেখতে পারেন গৌরিবেড়িয়া, শিকদার বাগান সহ বাগবাজার এলাকার বেশ কিছু জগদ্ধাত্রী পুজো।





