Wednesday, 3 September, 2025
3 September
Homeউত্তরবঙ্গGanesh Puja 2025: বাংলায় কৌলিন্য বাড়ছে গণেশের; পুজোর বিসর্জনকে ঘিরে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি...

Ganesh Puja 2025: বাংলায় কৌলিন্য বাড়ছে গণেশের; পুজোর বিসর্জনকে ঘিরে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি শহর শিলিগুড়িতে

১০-১২ বছর আগেও শিলিগুড়িতে বিশ্বকর্মা পুজো দিয়ে উৎসবের মরশুম শুরু হতো। এখন অবশ্য জাঁকজমকপূর্ণ গণেশ পুজো হয় শিলিগুড়িতে।

অনেক কম খরচে ভিডিও এডিটিং, ফটো এডিটিং, ব্যানার ডিজাইনিং, ওয়েবসাইট ডিজাইনিং এবং মার্কেটিং এর সমস্ত রকম সার্ভিস পান আমাদের থেকে। আমাদের (বঙ্গবার্তার) উদ্যোগ - BB Tech Support. যোগাযোগ - +91 9836137343.

কয়েক বছর আগেও বাংলায় পয়লা বৈশাখ বা অক্ষয় তৃতীয়ায় গণেশ পুজিত হতেন। কিন্তু হালফিলে আরব সাগরের ঢেউ এসে পড়েছে এ রাজ্যেও। বাংলায় কৌলিন্য বাড়ছে গণেশের। ১০-১২ বছর আগেও শিলিগুড়িতে বিশ্বকর্মা পুজো দিয়ে উৎসবের মরশুম শুরু হতো। এখন অবশ্য জাঁকজমকপূর্ণ গণেশ পুজো হয় শিলিগুড়িতে। আর এই গণেশ পুজোর বিসর্জনকে ঘিরে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হতে দেখা গেল শহরে।

রবিবার শিলিগুড়ি মহানন্দা নদীতে ৭৯টি গণেশ প্রতিমার বিসর্জন হয়েছে। বিসর্জনে অংশগ্রহণ করতে গিয়ে অধিকাংশ পুজো কমিটি প্রকাশ্যে আইন ভাঙলেও নীরব দর্শকের ভূমিকা ছিল পুলিশের বলে অভিযোগ নাগরিকদের। গতকাল ইস্টার্ন বাইপাস, শান্তিনগর, সুভাষ পল্লি, কলেজ পাড়া, বর্ধমান রোড ধরে বহু পুজো কমিটির প্রতিমা মহানন্দ্য ঘাটে যায়।

আরও পড়ুনঃ মেয়র পারিষদ পদ থেকে সরানো হল শিলিগুড়ির ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার শ্রাবণী দত্তকে

রাত আটটা নাগাদ বর্ধমান রোডে ডিজে বাজিয়ে বিসর্জনের শোভাযাত্রায় দেখা যায় বেশ কয়েকটি পুজো কমিটিকে। আবার রাত সাড়ে আটটায় হিলকার্ট রোডে তীব্র বাজি-পটকার আওয়াজে কান পাতাই দায়। ফুটপাথের এক ব্যবসায়ী সুজয় দাস বললেন, ‘এত তীব্র আওয়াজ সহ্য করা মুশকিল। ভিড়ের মাঝে পটকা ফাটানোয় যে কোনও সময়ে বিপদ হতে পারে।’

সুজয়দের কথা যে পুজো আয়োজকদের কান পর্যন্ত পৌঁছয় না, সেটা পৌনে ন’টা নাগাদ ভেনাস মোড়ে পৌঁছেই বোঝা গেল। সেখানে ১৫ মিনিট ধরে পথ আটকে পটকা ফাটিয়েছে একটি পুজো কমিটি। যার জেরে তীব্র যানজট দেখা যায় ফ্লাইওভারের উপরে, দেশবন্ধুপাড়া, বাবুপাড়ায়। পাশাপাশি রাত ন’টা নাগাদ সুভাষ পল্লিতে রাস্তা বন্ধ রেখে পটকা ফাটিয়ে নাচ-গান চলতে থাকে।

স্থানীয় রাত আরও একটু বেশি হলে জলেশ্বরী বাজার থেকে আশিঘর মোড় পর্যন্ত এলাকায় দু’টো পুজো কমিটির মধ্যে সংঘর্ষ চলতে থাকে। এমনকী, মধ্যরাতে পুরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে মারামারি-গন্ডগোলে জড়ান ওয়ার্ড কাউন্সিলার শ্রাবণী দত্ত ও স্থানীয়রা। এ নিয়ে একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয় (ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি এই সময়)। সুভাষপল্লির বাসিন্দা মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী অভিযোগ করে বলেন, ‘সবকিছুই ঘটেছে পুলিশের সামনে। পথচলতি মানুষকে নাকাল হতে হয়েছে ঘণ্টার পর ঘণ্টা। কোনও ব্যবস্থা নেয়নি পুলিশ।’

আরও পড়ুনঃ ২ মাসে ১১! ফের সীমান্তে বাংলাদেশি গ্রেফতার

অথচ দিনকয়েক আগেই দীনবন্ধু মঞ্চে পুজো প্রস্তুতি অনুষ্ঠানে পুলিশ কমিশনার সি সুধাকর, তিন ডিসিপি-সহ বহু পুলিশকর্মীর সামনে শীর্ষ আধিকারিকরা কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলেছিলেন। কেন পুজো কমিটিগুলির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি?

ডিসিপি (সদর) তন্ময় সরকার বলেন, ‘সাউন্ড অ্যান্ড ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনকে এই বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে। নির্দিষ্ট অভিযোগ জমা হলে আমাদের কাজ করতে সুবিধা হয়।’ কিন্তু ক্ষমতাশালী ক্লাব ও পুজো কমিটিগুলোর বিরুদ্ধে কে অভিযোগ জানিয়ে বিপদে পড়তে চাইবেন? যখন সবকিছুই হয়েছে পুলিশের সামনে! ডিসিপির সংযোজন, ‘নিশ্চয়ই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পুলিশের প্রাথমিক কাজ আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখা। সেটা করা হয়েছে। এ বারে আমরা খোঁজ নিতে শুরু করেছি, কারা আইন ভেঙেছে।’ তবে সোমবারও একই পরিস্থিতি ছিল। সেবক মোড়ে ঘণ্টাখানেক রাস্তা আটকে বিসর্জনে যাওয়ার ব্যবস্থা করতে দেখা যায় একটি পুজো কমিটিকে।

এই মুহূর্তে

আরও পড়ুন