Wednesday, 30 April, 2025
30 April, 2025
Homeদক্ষিণবঙ্গSaraswati Puja: বাংলা দেখাচ্ছে পথ, মহিলা পুরোহিতে বিতর্ক মন্তেশ্বরে

Saraswati Puja: বাংলা দেখাচ্ছে পথ, মহিলা পুরোহিতে বিতর্ক মন্তেশ্বরে

মাইকে ভেসে আসছিল মন্ত্রোচ্চারণ। তা শুনে, পথচলতি মানুষজন কিছুটা থমকে যাচ্ছিলেন। কেউ কেউ দাঁড়িয়ে পড়ছিলেন মণ্ডপের সামনে। কৌতূহলের কারণ, সরস্বতী পুজোর সে মন্ত্রপাঠ করছিলেন এক মহিলা। পূর্ব বর্ধমানের মন্তেশ্বরে একটি কোচিং সেন্টারে সোমবার বাগ্‌দেবীর আরাধনায় পৌরোহিত্য করলেন সুনন্দা রায়চৌধুরী। এই পৌরোহিত্যকে স্বাগত জানিয়েছেন পুরোহিত সমাজের একাংশ। আর এক অংশ অবশ্য বিষয়টিতে বিতর্কের রসদ পেয়েছে।

আরও পড়ুন: Chandrakona: বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল স্কুলে সরস্বতী ঠাকুর দেখতে যাবে বলে, ঘরে ফিরল ‘বৌ’ নিয়ে

মন্তেশ্বর ডাকঘরের কাছে সংস্কৃত নিয়ে পড়াশোনার একটি কোচিং সেন্টার চালান শরবিন্দু রায়। তিনি জানিয়েছেন, প্রতি বছর সরস্বতী পুজোয় এই সেন্টারের তরফে নানা সামাজিক বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করেন। তারই অঙ্গ হিসেবে এ বার মহিলা পুরোহিত দিয়ে পুজো করানোর ভাবনা আসে। তাঁর স্ত্রী সুনন্দাই পুরোহিতের আসনে বসেন। ‘থিম’ হয়, ‘মায়ের হাতেই মাতৃ আরাধনা’। শরবিন্দুর কথায়, ‘‘দেশের রাষ্ট্রপতি মহিলা, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মহিলা। মহিলারা দেশ, রাজ্য পরিচালনার কাজ করতে পারলে, পৌরোহিত্য করতে পারবেন না কেন!’’

সুনন্দা জানান, তাঁর বাপের বাড়ি বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরে। বিয়ের আগেই এক বান্ধবীর সঙ্গে তিনি বেলুড়ে একটি প্রতিষ্ঠান থেকে পুজোপাঠের প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন। তাঁর দাবি, মেয়েরা এখন সব পেশায় যোগ দিচ্ছেন। তা হলে পুজো করায় কেন পিছিয়ে থাকবেন! বাড়ির মহিলারা পুজোপাঠের সমস্ত নিয়মকানুন জানেন। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সংস্কৃত নিয়ে পড়াশোনা করেছেন তিনি। সুনন্দা বলেন, ‘‘সংস্কৃতের ছাত্রী হিসেবে দেখেছি, শাস্ত্রে কোথাও লেখা নেই, মেয়েরা পুজোপাঠ করতে পারবে না।’’

আরও পড়ুন: South Dinajpur: দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার সুস্বাদু মধু এবার গুজরাটে

এই ঘটনায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া এলাকায়। মন্তেশ্বরের দেবী চামুণ্ডার সেবায়েত বিশ্বজিৎ মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘পুজো করার অধিকার শুধু ব্রাহ্মণেরই, এটা ঠিক নয়। কেউ যদি তাঁর অন্তরে ব্রহ্মকে জাগাতে পারেন, তবে পুজো করায় নিষেধ আছে বলে মনে করি না।’’ তবে ওই গ্রামেরই দেবী সিদ্ধেশ্বরীর সেবায়েত জয়ন্ত চক্রবর্তীর দাবি, ‘‘পুজোপাঠের জন্য সারা বছর ধার্মিক আচার-আচরণের প্রয়োজন রয়েছে। সে ধরনের কাজ ব্রাহ্মণ সমাজ করে থাকে। এতে সম্মান ক্ষুন্ন হল বলে মনে করার জায়গা আছে।’’

সুনন্দার পুজো করা নিয়ে ওই কোচিং সেন্টারের পড়ুয়া জ্যোতিপ্রিয়া ঘোষ, তানিয়া দে, বর্ষা মাঝিরা অবশ্য বলেছে, ‘‘দিদিকে পুজো করতে দেখে খুব ভাল লেগেছে।’’

এই মুহূর্তে

আরও পড়ুন