এসআইআর আবহে ক্রমশ চড়ছে বঙ্গ রাজনীতির পারদ। তারই মধ্যে বিধানসভা নির্বাচন ২০২৬-কে পাখির চোখ করে বড় কর্মসূচির ঘোষণা করল সিপিআইএম। ২০২৪–এর লোকসভা নির্বাচনের আগে যুব সংগঠনকে সামনে রেখে রাজ্যে ‘ইনসাফ যাত্রা’ করেছিল, এবার বিধানসভা নির্বাচনের আগে ‘বাংলা বাঁচাও যাত্রার’ ডাক দিল আলিমুদ্দিন স্ট্রিট।
আরও পড়ুনঃ ২০০২ এর ভোটার লিস্টে নাম নেই হুগলীর কেওটা গড় বাগানের প্রায় ৫০ টি পরিবারের, কিন্তু কেন?
এই কর্মসূচিকে ভোটের আগে ‘কোমড়ের জোর’ কতটা তা বুঝে নিতে ওয়ার্মআপ হিসেবেই দেখছে সিপিআইএম।
লোকসভা ভোটের আগে ইনসাফ যাত্রা কোচবিহার থেকে শুরু হয়েছিল। দেড় মাসের বেশি সময় ধরে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত ঘুরে কলকাতায় শেষ হয়েছিল ব্রিগেড সমাবেশ দিয়ে। ‘বাংলা বাঁচাও যাত্রায়’ ব্রিগেডের ঘোষণা না হলেও, এবারের যাত্রাও শুরু হতে চলেছে কোচবিহার থেকে। ২৯ নভেম্বর কোচবিহার তুফানগঞ্জ থেকে শুরু হয়ে ২৯ নভেম্বর ১৭ ডিসেম্বর উত্তর ২৪ পরগনার কামারহাটিতে শেষ হবে যাত্রা। পায়ে হেঁটে, ট্যাবলো, গাড়িতে এই যাত্রা হবে।
আরও পড়ুনঃ চিকেনস নেকে বড়সড় নাশকতার ছক! বাগডোগরার সেনা ছাউনিতে বাংলাদেশি ‘চর’
সাংবাদিক বৈঠকের মাধ্যমে ‘বাংলা বাঁচাও যাত্রার’ ঘোষণা করেন সিপিআইএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। তিনি জানান,বাংলাকে বাঁচাতে হলে বামপন্থার পুনরুত্থান প্রয়োজন। ভাষা, সংস্কৃতি, খেলা, সাহিত্য সবকিছুতে বাংলাকে বাঁচাতে হবে। এছাড়া জল, জমি, জঙ্গল, স্কুল, হাসপাতাল, শিল্প সহ রাজ্যেক একাধিক বিষয় বাঁচাতেই এই বাংলা বাঁচাও যাত্রা বলে জানান মহম্মদ সেলিম।
বিধানসভা নির্বাচনের আগে এই সুদীর্ঘ যাত্রাপথের কর্মসূচি নিয়ে আশাবাদী আলিমুদ্দিন স্ট্র্রিট। দলের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর এক সদস্যর কথায়, ‘জনগণের বিভিন্ন ইস্যু রক্ষা করতেই ‘বাংলা বাঁচাও’ যাত্রা হবে। একটি কেন্দ্রীয় পদযাত্রার পাশাপাশি বিভিন্ন জায়গায় জনসভা হবে। নির্বাচনের দিকে তাকিয়েই প্রচার শুরু করা মূল লক্ষ্য হতে চলেছে। কোন ইস্যুতে ভোট হবে ,এই যাত্রা থেকে ঝালিয়ে নেবে বামেরা। এর সুফল ভোট বাক্সে কতটা পাবে সিপিআইএম, তার উত্তর দেবে সময়।





