দুর্যোগের মেঘ ঢেকে ফেলেছে বাংলার আকাশ। রাত পোহালেই ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির সতর্কতা একের পর এক জেলায়। কোথাও কোথাও ২০০ মিলিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টির পূর্বাভাস দিচ্ছে আবহাওয়া দফতর। সবথেকে বেশি বৃষ্টির আশঙ্কা উপকূলবর্তী এলাকাগুলিতে। ইতিমধ্য়েই হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে দিঘা থেকে পাথরপ্রতিমা, নামখানা, কুলতলিতে। সেই সঙ্গে বইছে ঝোড়ো হাওয়া। স্থানীয় প্রশাসনের তরফে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়াও শুরু হয়ে গিয়েছে।
আরও পড়ুন: আচমকা বারুইপুর থেকে উধাও ৩৩০ জন রোহিঙ্গা
পাথরপ্রতিমা, নামখানা, সাগর, কুলতলি, গোসাবা, কাকদ্বীপের নদী ও সমুদ্রবাঁধের কানায় কানায় জল। হাওয়া অফিস বলছে যে কোনও সময় শুরু হয়ে যেতে জলোচ্ছ্বাস। আজ থেকে ৩ দিন একইরকম দুর্যোগের সতর্কতা আছে জেলাজুড়ে। মৎস্যজীবীদের নদী, সমুদ্রে নামতে নিষেধ করা হয়েছে। জেলা প্রশাসন দুর্যোগ মোকাবিলায় দফায় দফায় বৈঠক করছে। দুর্যোগ মোকাবিলায় সব বিভাগের কর্মীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। কন্ট্রোলরুম খোলার পাশাপাশি বিডিও অফিসে শুকনো খাবার, পানীয়জল, তার্পোলিন মজুত রাখা হয়েছে। অন্যদিকে সকাল থেকে বকখালিতে পর্যটকদের সতর্ক করতে ফ্রেজারগঞ্জ উপকূল থানার পুলিশ ও সিভিল ডিফেন্সের যৌথ উদ্যোগে চলছে লাগাতার মাইকিং।
আরও পড়ুন: “আপনিই সেই BSF জওয়ান না?” পূর্ণমকে দেখেই চিনে গেল তারকেশ্বরের পুরোহিত
অন্যদিকে মঙ্গলবার থেকে মাইকিং শুরু হয়েছে দিঘাতেও। পর্যটকদের সমুদ্রে নামায় জারি হয়েছে নিষেধাজ্ঞা। মৎসজীবীরাও যাতে কোনওভাবে উত্তাল সমুদ্রে না নামেন সেদিকে বিশেষ নজর রাখা হচ্ছে। এদিকে হাওয়া অফিস বলছে, সবথেকে বেশি বৃষ্টি হতে পারে বৃহস্পতি ও শুক্রবারই। তারপরই ধীরে ধীরে কমবে বৃষ্টির দাপট।