বিশ্বকর্মা পুজোয় ছুটি দিয়েছে রাজ্য সরকার। কিন্তু খোলা রয়েছে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়। স্নাতকোত্তরে ভর্তির কাউন্সিলিংয়ের কাজের জন্য এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। আর এই বিষয়টি নিয়েই ফের সংঘাতের আবহ। যদিও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের পাশেই থাকছেন বর্ষীয়ান বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ। তাঁর সাফ কথা, বিশ্বকর্মা পুজোয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছুটি দেওয়ার কোনও অর্থ নেই।
আরও পড়ুনঃ উল্টো পথে হাঁটল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়! আজ বিশ্বকর্মা পুজোর দিন থাকছে না ছুটি
পরিযায়ী শ্রমিকদের সম্মান জানিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিশ্বকর্মা পুজোয় ছুটি ঘোষণা করেছেন। দিলীপ ঘোষ অবশ্য এই সিদ্ধান্তকে কোনও মতই সমর্থন করছেন না। বরং তাঁর কটাক্ষ – রাজ্যে শুধু ছুটিই চলছে। সংবাদমাধ্যমে বিজেপি নেতা বলেন, ”বিশ্ববিদ্যালয়, স্কুলে বিশ্বকর্মা পুজোয় ছুটি দেওয়ার কী দরকার? সরস্বতী পুজো বা দুর্গা-কালী পুজোয় ছুটি দিক। সব জায়গায় ছুটি দিলে কী করে হবে। ছুটিই চলছে, কাজ এবং পড়াশোনা কোথায় হচ্ছে? এভাবে চলতে পারে না।”
বিগত কয়েক মাসে রাজ্যজুড়ে বিভিন্ন শিক্ষাঙ্গন থেকে তৃণমূল নেতাদের ‘দাদাগিরি’র খবর এসেছে। সেই প্রসঙ্গে দিলীপের বক্তব্য, ”স্কুল, কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ে কোথাও পড়ার পরিবেশ নেই। শুধু লুটপাট, দাদাগিরি, ইউনিয়নবাজির নামে টাকা তোলা চলছে। তাই সরকারি সিদ্ধান্তে ৮ হাজার স্কুল বন্ধ হচ্ছে। আর যে পরীক্ষা হল তারপরও যদি নিয়োগ না হয় তাহলে ২৮ হাজার স্কুল বন্ধ হয়ে যাবে। পড়াশোনা হবে কোথায়?” দিলীপের মতে, রাজ্য সরকার নিয়োগ নিয়ে কোনও সিদ্ধান্তই নিচ্ছে না, ফলে এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ স্কুলে তৃণমূল নেতার ‘দাদাগিরি’; ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষককে পড়ুয়াদের সামনেই ঘাড়ধাক্কা
কিছুদিন আগেই সম্পন্ন হয়েছে এসএসসি-র পরীক্ষা। তবে নিয়োগ নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন দিলীপ ঘোষই। বক্তব্য ছিল, পাস করে সেই ধর্নাই দিতে হবে পরীক্ষার্থীদের। দিলীপ ঘোষ বলেছিলেন, ”এই সরকার আসার পর পরীক্ষা করে না। বহু পরীক্ষা প্রথমবার হচ্ছে। পরীক্ষা যদিও হয় তার রেজাল্ট হয় না। পাস করে গেলে চাকরি হয় না। পাস করলেও তাঁদের ধর্নায় বসতে হয়। সেই ধর্নায় বসতে হবে। আর যদি চাকরি পেয়েও যায়, ডিএ পাবে না।”
দিলীপের সাফ কথা, গ্রামের মানুষ হোক কী শহর, বাংলার ছেলেমেয়েরা রাজ্য পড়তেই চাইছে না কারণ এখানে ভবিষ্যৎ নেই। পরীক্ষা হলে নিয়োগ হয় না, দুর্নীতির অভিযোগে বারবার মামলা হয়, জটিলতা সৃষ্টি হয়। তাই অধিকাংশই বাইরের রাজ্যে চলে যান। রাজ্য সরকারকে নিশানা করে তিনি বলেন, এখানে শুধু বাঙালি-বাঙালি করে আদতে বাঙালিকে রাজ্য ছাড়া করা হচ্ছে।