আমেরিকার কলোরাডোয় ইজ়রায়েলের সমর্থনে একটি জমায়েতে হামলার অভিযোগ। অন্তত ছ’জন গুরুতর আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস (এপি)। তাঁদের প্রত্যেকের শরীরে পোড়া ক্ষত রয়েছে। হামলাকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে আমেরিকার গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই। ইতিমধ্যে তারা ঘটনাটিকে ‘সন্ত্রাসবাদী হামলা’ বলে উল্লেখও করেছে।
কলোরাডোর বোল্ডারে একটি শপিং মলের বাইরে রবিবার (স্থানীয় সময়) জড়ো হয়েছিলেন কিছু মানুষ। গাজ়ায় যে সমস্ত ইজ়রায়েলি এখনও পণবন্দি, তাঁদের সমর্থনে এই জমায়েতের আয়োজন করা হয়েছিল। অভিযোগ, আচমকা সেখানে এক ব্যক্তি ছুটে আসেন। ‘প্যালেস্টাইনকে মুক্ত করো!’ (ফ্রি প্যালেস্টাইন) বলে চিৎকার করে ওঠেন তিনি। তার পর আচমকা জমায়েত লক্ষ্য করে ছুড়ে দেন ফায়ার বম্ব। বোল্ডারের পুলিশ জানিয়েছে, এই হামলায় ‘মেকশিফ্ট ফ্লেমথ্রোয়ার’ও ব্যবহার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: চ্যালেঞ্জের মুখে Jio-Airtel-Vodafone Idea! ১৭ বছর পর লক্ষ্মীলাভ BSNL-র
ঘটনাস্থল থেকেই হামলাকারীকে ধরে ফেলে পুলিশ। ৪৫ বছরের ওই ব্যক্তির নাম মহম্মদ সাব্রি সোলিমন। পুলিশ জানিয়েছে, হামলা চালাতে গিয়ে তিনি নিজেও আহত হয়েছেন। গ্রেফতারির পর তাঁকে প্রথমে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ওয়াশিংটনের এফবিআই আধিকারিকেরা জানিয়েছেন, এই ঘটনাকে ‘সন্ত্রাসবাদী হামলা’ হিসাবেই বিবেচনা করা হচ্ছে। কলোরাডোর গভর্নর একটি বিবৃতিতে জানিয়েছেন, এই ধরনের ঘৃণ্য কাজ মেনে নেওয়া যায় না। তিনি পরিস্থিতির দিকে নজর রেখেছেন।
সমাজমাধ্যমে কলোরাডোর হামলার একাধিক ছবি এবং ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়েছে। তাতে দেখা গিয়েছে, হামলাকারীর পরনে শুধু জিন্স। শরীরের ঊর্ধ্বাঙ্গ অনাবৃত। তাঁর দুই হাতে দু’টি কাচের বোতল দেখা গিয়েছে, যার মধ্যে তরল পদার্থ রয়েছে। জমায়েতের দিকে তাকিয়ে চিৎকার করতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। এই ছবি এবং ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি বঙ্গবার্তা।
আরও পড়ুন: কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা! সন্তানকে ‘মেরে’ আত্মহত্যার চেষ্টা মায়ের
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে ইজ়রায়েলে যুদ্ধ চলছে। প্যালেস্টাইনপন্থী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছিলেন ইজ়রায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। হামাসের হাতে এখনও অনেক ইজ়রায়েলি পণবন্দি। নেতানিয়াহু জানিয়েছেন, পণবন্দিদের মুক্ত না করলে গাজ়ায় হামাসের ডেরা লক্ষ্য করে হামলা চালিয়ে যাবে তাঁর বাহিনী। পরিসংখ্যান বলছে, হামাস পরিচালিত গাজ়ায় ৫৪ হাজারের বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন ইজ়রায়েলি হামলায়। পশ্চিম এশিয়ার এই পরিস্থিতির আঁচ লাগল কলোরাডোর জমায়েতেও।