আজ কালীপুজো। শহর তথা রাজ্য- দিকে দিকে চলছে মাতৃ আরাধনা। এদিন সকাল থেকেই বিভিন্ন মন্দিরে ভিড় জমিয়েছে ভক্তরা। কালীঘাট, তারাপীঠ, তারকেশ্বর, কামারপুকুরে প্রতি বছরের মতোই এবারেও এই পুণ্য তিথিতে চেনা ছবি দেখা গেল।
এদিন ভোর থেকেই তারাপীঠে বহু মানুষ এসেছেন। সিদ্ধেশ্বরী মায়ের পুজো দিয়ে মনস্কামনা পূর্ণ হওয়ার আশা নিয়েই এসেছেন তাঁরা। বেলা যত গড়াচ্ছে, ভিড় আরও বাড়ছে।
কালীপুজোর ভোরবেলা বিশেষ আচার মেনে দেবী শিলাব্রহ্মময়ীর পুজো করা হয়। সকালে স্নান করিয়ে দেবীকে রাজবেশে সাজানো হয়। পরানো হয় চুনরি, রাজবেশে, অলঙ্কারে সাজিয়ে তোলা হয় মা-কে। এরপর পঞ্চ উপাচারে মঙ্গলারতি ও নিত্যপুজো সম্পন্ন হয়। ভোরবেলা দেবীর উদ্দেশে নিবেদন করা হয় শীতল ভোগ। সেই ভোগে থাকে ছোলা, মুড়কি, মিষ্টি, ফল, সরবত এবং মিছরি ভেজানো জল।
দেবীকে রাজবেশে সাজানোর পর মন্দির চত্বরে ঢাকের তালে, মন্ত্রপাঠে আর আলোর ঝলকে ভরে ওঠে সকাল। ভক্তরা প্রত্যুষে উপস্থিত হয়ে মা-র দর্শন করে আশীর্বাদ প্রার্থনা করেন।
রবিবার মধ্যরাত থেকেই কালীঘাট, দক্ষিণেশ্বরে মন্দির চত্বরে ডালা হাতে লাইনে দাঁড়িয়েছেন ভক্তরা। দূরদূরান্ত থেকে এসেছেন অনেকেই। কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে দেওয়া হয়েছে মন্দির চত্বর।
আরও পড়ুনঃ পুজো শুরু করেন রঘু ডাকাত! বিপ্লবীদের গোপন বৈঠক হত বাঁকুড়ার এই মন্দিরে
দক্ষিণেশ্বরে সকাল ৬টা থেকে শুরু হয়েছে পুজো। কোনওরকম দুর্ঘটনা এড়াতে বাড়ানো হয়েছে নজরদারি। মন্দির ও আশেপাশের এলাকায় মোতায়েন রয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী। অন্যদিকে, করুণাময়ী কালীবাড়িতে শুরু হয়ে গেছে কুমারী পুজো। নিষ্ঠা মেনেই চলছে পুজো।
নৈহাটির বড়মা ভক্তদের কাছে এক অন্যরকম আবেগ। এখানেও সাড়ম্বরে চলছে পুজোর প্রস্তুতি। শতবর্ষ পেরিয়ে এবার ১০২ বছরে পা দিল এই ঐতিহ্যবাহী পুজো। কালীপুজোর রাতে বড়মাকে এক ঝলক দেখার জন্য লাখ লাখ মানুষ ভিড় করেন মন্দির চত্বরে। এমনও বিশ্বাস আছে, বড়মার কাছে কিছু চাইলে, তিনি ভক্তদের খালি হাতে ফেরান না। তাই শুধু নৈহাটি নয়, আশপাশের এলাকা এমনকি দূর-দূরান্ত থেকেও মানুষ আসেন এই পুজোয় অংশ নিতে।
সকাল থেকেই ভক্তদের সমাগম শুরু হয়েছে এখানে, কালীপুজোর রাতে ঠিক ১২টায় শুরু হবে মূল পুজো। রাত ২টো ৩০ মিনিটে অঞ্জলি দেওয়া যাবে। এরপর শুরু হবে ভোগ ও প্রসাদ বিতরণ।





