পহেলগামে জঙ্গি হানার ঘটনা ঘটেছে। ২৫ জন পর্যটক এবং স্থানীয় এক যুবককে খুন করেছে সন্ত্রাসবাদীরা। স্বাভাবিকভাবেই এই হামলার ঘটনার পর গোটা জম্মু-কাশ্মীর জুড়ে হাই অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। জায়গায় জায়গায় চলছে সেনার তল্লাশি অভিযান। এরই মধ্যে বড় বিবৃতি দিল জম্মু মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ।
উপত্যকায় যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তা মাথায় রেখে হাসপাতালে হাই অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। সব কর্মীদের ছুটি বাতিল করে ‘প্রস্তুত’ থাকার নির্দেশ দিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। শুধু তাই নয়, ২৪ ঘণ্টার জন্য কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে ক্যাম্পাসে। সকল কর্মীদের বলা হয়েছে, কোনও রকম সতর্কবার্তা পেলেই দ্রুত ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে খবর দিতে। তাহলে কি আগামী কয়েকদিনে বড় কিছু হতে চলেছে ভূ-স্বর্গে? জল্পনা বেড়েই চলছে।
আরও পড়ুন: জঙ্গিহানায় নিহত বিতানের স্ত্রী সোহিনীর নাগরিকত্ব নিয়ে বিতর্ক
পর্যটকদের ওপর হামলার ঘটনায় স্থানীয়রা কেউ যুক্ত থাকতে পারেন বলেই গোয়েন্দারা মনে করছেন। কিন্তু কারা জঙ্গিদের সাহায্য করেছিল? স্থানীয় ট্যুর গাইড বা ঘোড়া নিয়ে যারা পর্যটকদের ভ্যালিতে নিয়ে যান তাঁরা? সন্দেহ বাড়ছে। এরই মধ্যে আবার একজন গাইডকে আটক করেছে পুলিশ। এক তরুণী দাবি করেছেন, সন্দেহভাজন জঙ্গির সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছিল! আসলে তিনি নাকি ঘোড়া নিয়েই ভ্যালিতে যাচ্ছিলেন। আর ওই ব্যক্তিই তাঁকে তাঁর ধর্ম কী তা জিজ্ঞেস করেছিল। ইতিমধ্যে হামলাকারী চার জঙ্গির ছবি প্রকাশিত হয়েছে। এছাড়া এক গাইডের ছবিও ঘুরপাক খাচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেই ছবি দেখেই তিনি পুলিশকে একথা জানান।
পুলিশের অনুমান, এই যুবক পহেলগাম জঙ্গিহানার সঙ্গে পরোক্ষভাবে যুক্ত। তার কাছ থেকেই নানা তথ্য নিয়ে ওই জায়গায় গেছিল জঙ্গিরা। গোয়েন্দারা আগেই জানতে পেরেছেন যে, বৈসরন ভ্যালিয়ে বেশ কয়েকবার রেইকি করেছিল জঙ্গিরা। এই যুবক তাদের সাহায্য করতে পারেন বলে সন্দেহ। তরুণীর অভিযোগের ভিত্তিতে গন্দেরওয়াল থেকে আয়াজ আহমেদ জুঙ্গল নামের ওই গাইডকে আটক করেছে। ইতিমধ্যে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা শুরু হয়েছে।
ভারত সরকারও পাকিস্তানের বিরুদ্ধে একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। পাল্টা হুঁশিয়ারি দিয়েছে পাক সরকারও। এহেন পরিস্থিতিতে জম্মু-কাশ্মীর নিয়ে আরও বেশি সতর্ক স্থানীয় প্রশাসনও। জম্মু মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালকে সব কর্মীদের প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দেওয়া সেই সতর্কতার মধ্যেই পড়ে।
