জ্যোতিষশাস্ত্র বলছে, পাকিস্তানের হাল বেহাল করে স্বর্ণযুগ ত্বরান্বিত হবে ভারতের। সেই দিন আর বেশি দেরি নেই। জনপ্রিয় ইউটিউবার রণবীর এলাহাবাদিয়ার এক পডকাস্টে যুদ্ধ নিয়ে নানা কথা বলেছেন স্বামী যোগেশ্বরানন্দ গিরি।
স্বামী যোগেশ্বরানন্দ গিরি গত বছরের জুলাইতে জানিয়েছিলেন যে, ২০২৫ সালের ২৫ মে যুদ্ধ হবে। তিনি এও জানিয়েছেন যে, ৬টি গ্রহের অবস্থানের কারণে ভারতের সামনে ভালো সময়। আর পাকিস্তানের অবস্থা খারাপ হবে।
আরও পড়ুন: বাটি হাতে পাকিস্তান; পেট চালাতে ভিক্ষা চাইছে!
গ্রহদের অবস্থানের যে বিষয়টা স্বামী যোগেশ্বরানন্দ গিরি জানিয়েছেন, সেই প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, এমনটা তা কারও মুখের কথায় নয়, অঙ্ক দ্বারাও প্রমাণিত। ফর্মুলাও রয়েছে, যে কেউ কষে বের করতে পারে।
স্বামী যোগেশ্বরানন্দ গিরির কথায়, ঋষি অরবিন্দ, স্বামী বিবেকানন্দ, আব্দুল কালাম যিনি আমাদের প্রেসিডেন্ট ছিলেন, তাঁরাও এ কথা বলে গিয়েছিলেন যে, ভারতের স্বর্ণযুগ আসছে। এ বার কেউ যদি কিছু দেখতে না চান, চোখ বন্ধ করে রাখেন, তা হলে কিছু করার নেই।
স্বামী যোগেশ্বরানন্দ গিরি জানিয়েছেন, সব কিছু পুনরুজ্জীবিত করার জন্য যুদ্ধের প্রয়োজন। যুদ্ধ মানেই যেন যজ্ঞ, আর যজ্ঞ মানে বলিদান। তাঁর মতে, ভারত শীঘ্রই আধিপত্য বিস্তার করবে। ইউনাইটেড নেশনে খুব শীঘ্রই ভারত ছাপ ফেলবে।
তিনি বলেন, ‘জ্যোতিষশাস্ত্র মতে ভারতের ভাগ্য নিয়ে যদি বলতে হয়, তা হলে আগের ১০০০-১৫০০ সালের অবস্থা যদি দেখি, সেখানে পতন আছে। শৃঙ্গে উঠেছিল। তারপর পড়েছিল। কর্মফলের জন্য। পরিস্থিতি আবার বদলেছে।’
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রসঙ্ঘের কাছে স্বাধীন দেশের স্বীকৃতি দাবি বলোচ সাহিত্যিকের, বার্তা ভারতকেও
স্বামী যোগেশ্বরানন্দ গিরি বলেন, ‘একটা সমাজ, জাতি, ধর্ম শিখরে ওঠে, আবার সেখান থেকে নেমেও যায়। হিমালয়ের চূড়ায় অনেকে ওঠেন। কিন্তু সেখানে থাকেন মাত্র কয়েকটা মিনিট। আর তার প্রস্তুতিতে অনেকে লেগে থাকেন বছরের পর বছর। ওই যাত্রাটাই আনন্দের। ২-৩ মিনিট সেখানে থাকার আনন্দ আলাদা হয়। তারপর তো হিমালয় থেকে নীচে নামার আর এক আলাদা আনন্দ হয়।’
স্বামী যোগেশ্বরানন্দ গিরির কথায়, রাষ্ট্র, ধর্ম, চেতনার যে যাত্রা রয়েছে, তাতে সনাতনে একটা সময় উপরের দিকে উঠেছিল। ভারতের এখন মাটি থেকে উঠে দাঁড়ানোর সময়। ভারত যে উঠে পড়েছে আমি সেটা দেখতে পাচ্ছি। ভারতের এই অবস্থান বিশ্বের জন্য ভালো। মানবতার জন্য ভালো।
বিঃ দ্রঃ – এই প্রতিবেদনে যে বক্তব্য তুলে ধরা হয়েছে, তা তাঁদের ব্যক্তিগত মতামত। এই বিষয়ে কোনও দায় নেই বঙ্গবার্তা-র।