ধর্মতলায় ধুন্ধুমার কাণ্ড। আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকির নেতৃত্বে বিক্ষোভ চলছিল সেখানে। সেই বিক্ষোভ হঠাতে গেলেই পুলিশের সঙ্গে প্রবল ধস্তাধস্তি শুরু হয় আইএসএফ কর্মীদের। তাঁদের সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন পুলিশ আধিকারিকরা। শুধু আইএসএফ (ISF) কর্মী নন,পাশাপাশি বিধায়কের সঙ্গেও ব্যাপক তর্কে জড়ায় পুলিশ। চলছে ব্যাপক ধড়পাকড়। ইতিমধ্যেই আটক হয়েছেন নওশাদ। তাঁকে তোলা হয়েছে প্রিজন ভ্যানে।
আরও পড়ুনঃ ‘ল্যান্ড ইউজ ম্যাপ’ তৈরি করা হচ্ছে; শৈবতীর্থ তারকেশ্বরকে ঘিরে নগর পরিকল্পনা
বুধবার (২০ অগস্ট) নওশাদ সিদ্দিকির নেতৃত্বে আইএসএফ সংশোধিত ওয়াকফ আইন, SIR-এর প্রতিবাদে পথে নামেন। তবে পুলিশের দাবি, এই মিছিলের অনুমতি তাদের কাছ নেয়নি আইএসএফ। এরপর মিছিল ধর্মতলার মেইন রোডের কাছে আসতেই শুরু পুলিশের তরফে মিছিল সরাতে বলা হয়। তবে তাতে রাজি হননি নওশাদ। কাছ পুলিশ আটকেই ব্যাপক ধড়পাকড় শুরু করে। তারপর আইএসএফ কর্মীরা ওয়াই চ্যানেলে বসে পড়েন ধরনায়। ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকজনকে আটকে করেছে। হাতে রয়েছে জাতীয় পতাকা। এরপর নওশাদকেও আটক করা হয়। ডিসি সেন্ট্রাল ইন্দিরা মুখোপাধ্যায় বলেন, “আইএসএফ কোনও অনুমতি নেওয়া হয়নি। এখন ওঁকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।”
এ দিকে, এ দিন নওশাদ দাবি তোলেন পুলিশ তাঁর নাকে মেরেছে। যদিও, ডিসি সেন্ট্রাল জানান, গোটা বিষয়টি তারা খতিয়ে দেখবেন। বুধবার নওশাদ পুলিশকে বলেন, “কেন এমন করছেন। আমায় তো হাতমোড়া করতে চাইছেন….। আমার মাথায় টুপি আছে বলে প্রতিবাদ করতে পারব না?” এরপর এক পুলিশ আধিকারিক আটক করতে এলে পাল্টা নওশাদ বলেন, “আপনার আইডি কার্ড দেখান।” তিনি নিজেও এ দিন স্বীকার করে নেন যে এই মিছিলেন জন্য পুলিশের কাছে অনুমতি নেননি।
আরও পড়ুনঃ চিন্তায় বিমান! জোটে আগ্রহী নয় ফরওয়ার্ড ব্লক ও আরএসপি
নওশাদের প্রশ্ন, “আটক করে আটকে রাখতে পারবে না। ওয়াকফ নিয়ে প্রতিবাদ করতে পারব না? OBC নিয়ে নাটক করছে। প্রতিবাদ করতে পারব না? পুলিশকে বললাম আমাদের সাইডে ব্যবস্থা করে দেন। পুলিশ বলল না পারব না। আমাকে পুলিশ ঘুষি মেরেছে। আসলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরএসএস-বিজেপি-কে দেখাবে বাংলায় ওয়াকফ বিরোধী আন্দোলন হচ্ছে না। গুড বুকে নাম তুলবেন সেই জন্য প্রতিবাদ করতে দিচ্ছেন না।”