কুশল দাসগুপ্ত, শিলিগুড়িঃ
স্ত্রীকে প্রথম থেকেই সন্দেহ করতেন। কিন্তু দিনে দিনে সেই সন্দেহবাতিকতা মারাত্মক পর্যায়ে পৌঁছয়। মনে করতেন, বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছেন স্ত্রী! সেই সন্দেহের বশেই স্ত্রীকে খুন করে আত্মঘাতী স্বামী। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে জলপাইগুড়ি খড়িয়া গ্রামপঞ্চায়েত এলাকায়। তদন্তে কোতোয়ালি থানার পুলিশ।
আরও পড়ুনঃ হাত ধরে দাঁড়িয়েছিল! ডাউন লোকালটা আসতেই এগিয়ে গেল যুগল, মুহূর্তেই ছিন্নভিন্ন দেহ
জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের খড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের গদাধর কলোনি এলাকার বাসিন্দা সন্তোষ বর্মন ৫৫। তিনি গাছ কাটার কাজ করতেন। বছর পঞ্চাশের স্ত্রী নীলা বর্মন গৃহবধূ। তাঁদের ৩ ছেলে রয়েছে। সকলেই অবিবাহিত। কিন্তু প্রত্যেকেই শ্রমিকের কাজ করতেন।
জানা গিয়েছে, মাস কয়েক আগে একটি বাড়িতে গাছ কাটতে গিয়ে পড়ে মাথায় চোট পান সন্তোষ। তার পর থেকেই মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন। স্ত্রীকে সন্দেহ করতেন।
এলাকার পঞ্চায়েত শোভন রায় বলেন সন্তোষ খুব একটা কথা বলতেন না। ওর স্ত্রীকে নিয়ে সন্দেহবাতিক ছিলেন।
আরও পড়ুনঃ দাম্পত্যকলহ! মাথায় রাখুন এই বিষয়গুলো
এক পঞ্চায়েত সদস্যা রত্না ধর বলেন, “সকালে এমন ঘটনার খবর পেয়েই যাই। প্রাথমিক ভাবে মনে হচ্ছে স্ত্রীর গলা চাকু জাতীয় কোনও ধারাল অস্ত্র দিয়ে কাটার পর নিজেও ফাঁসি দিয়েছে।”
কোতোয়ালি থানার আই সি সঞ্জয় দত্ত বলেন, “মৃতদেহ দুটিকে ময়না তদন্তের জন্য পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। অস্বাভাবিক মৃত্যু ও খুনের মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।”