ফের জোরালো কম্পন রাশিয়ায়। শুক্রবারের পর রবিবারেও কেঁপে উঠল সেখানকার কুরিল আইল্যান্ড। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৭। এর জেরে রাশিয়ার পূর্বে অবস্থিত কামচাটকায় জারি করা হয়েছে সুনামি সতর্কতা। তবে এদিন রাশিয়ার ওই অঞ্চল ছাড়া আর কোনও জায়গায় সুনামির ঝুঁকি নেই বলেই জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুনঃ ফুঁসছে তিস্তা-তোর্সা! বাংলা-সিকিম যোগাযোগ আশিংক বন্ধ
ইতিমধ্যেই রাশিয়ার মিনিস্ট্রি অফ ইমার্জেন্সি সার্ভিসেস উপকূল থেকে বাসিন্দাদের সরে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে। টেলিগ্রাম বার্তায় জানানো হয়েছে, ভূমিকম্পের জেরে সুনামির সম্ভাবনা রয়েছে। ঢেউয়ের উচ্চতা কম থাকলেও সতর্কতা হিসেবে তীর থেকে দূরে সরে যাওয়ার কথা বলা হয়েছে। তবে এদিনের ভূমিকম্পে এখনও কোনও ক্ষয়ক্ষতি বা হতাহতের খবর মেলেনি। প্রসঙ্গত, বড়সড় আফটার শকের পূর্বাভাস আগেই দিয়েছিলেন বিজ্ঞানীরা।
বুধবারের শক্তিশালী ভূমিকম্পে কোনও ক্ষয়ক্ষতি না হলেও জেগে উঠেছে ৬০০ বছর ধরে সুপ্ত অবস্থায় থাকা ক্রাশেনিনিকভ আগ্নেয়গিরি। রাশিয়ার স্ট্রেট নিউজ এজেন্সি সূত্রে খবর, শনিবার রাতেই সেখানে প্রথম অগ্ন্যুৎপাত ঘটেছে। এই আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের কারণেই রবিবার ভোরে কম্পনে কেঁপে উঠেছে রাশিয়া বলে অনুমান বিজ্ঞানীদের একাংশের।
উল্লেখ্য, ৩০ জুলাই ভোরে রাশিয়ার কামচাটকা উপকূল কেঁপে ওঠে ৮.৮ মাত্রার ভূমিকম্পে। এটি ছিল শতাব্দীর অন্যতম শক্তিশালী ভূমিকম্পের একটি। এর জেরে চার মহাদেশে জারি হয় সুনামি সতর্কতা। এমনকী ওই দিন এই কুরিল দ্বীপেই আছড়ে পড়েছিল সুনামির ঢেউ। তবে এই কম্পনের জেরে সবচেয়ে উঁচু ১০ ফুট সুনামির ঢেউ তৈরি হয় হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জে।
আরও পড়ুনঃ বিরাম নেই বৃষ্টির; বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি চলবে দক্ষিণবঙ্গে, উত্তরবঙ্গেও দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া
তার পরে একাধিক বার কম্পন অনুভূত হয়েছে রাশিয়ায়। ন্যাশনাল সেন্টার অফ সেসমোলজির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ভারতীয় সময় শুক্রবার রাত ১১.৫০ নাগাদ আঘাত হানে ভূমিকম্পটি। এদিন ভূমিকম্পের উৎসস্থল ছিল রাশিয়ার কুরিল দ্বীপের পূর্বে। ভূমিকম্পের কেন্দ্র ছিল ভূপৃষ্ঠের ৩২ কিমি গভীরে।