Tuesday, 17 June, 2025
17 June, 2025
HomeকলকাতাLeft Front: বাংলায় দোস্তি কেরলে কুস্তি, এ কেমন দ্বিচারিতা বাম শরিকদের!

Left Front: বাংলায় দোস্তি কেরলে কুস্তি, এ কেমন দ্বিচারিতা বাম শরিকদের!

এই ফেসবুক পোস্ট চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ার পরই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে বামেদের দ্বিচারিতা নিয়ে।

অনেক কম খরচে ভিডিও এডিটিং, ফটো এডিটিং, ব্যানার ডিজাইনিং, ওয়েবসাইট ডিজাইনিং এবং মার্কেটিং এর সমস্ত রকম সার্ভিস পান আমাদের থেকে। আমাদের (বঙ্গবার্তার) উদ্যোগ - BB Tech Support. যোগাযোগ - +91 9836137343.

দেবজিৎ মুখার্জি, কলকাতা:

ধীরে ধীরে কি বঙ্গ রাজনীতিতে অপ্রাসঙ্গিক হয়ে উঠছে বামেরা? প্রতিনিয়তই স্পষ্ট হচ্ছে সংগঠনের অন্দরে মতপার্থক্য। কখনো দলের নেতৃত্বেরই একাংশ দলের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করছেন। আবার কখনো কটাক্ষ ধেয়ে আসছে শরিকদের থেকে। বলতে গেলে, বর্তমানে বিরোধীদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের চেয়েও নিজেদের বিরুদ্ধেই বেশি লড়াই করছে লাল পার্টি, যা ভোট বাক্সে প্রভাব ফেলছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহলে একাংশ।

আবারো সম্পর্কে ফাটল দেখা গেল সিপিএম ও তাদের গুরুত্বপূর্ণ শরিক আরএসপির মধ্যে। সম্প্রতি, বিভিন্ন ইস্যুতে আরএসপিকে গুরুত্ব না দিতে দেখা গিয়েছে বামেদের, যা জন্ম দিয়েছে অজস্র প্রশ্নের। যদিও এমনটা একেবারেই হয়নি বলে দাবি করা হয়েছে আরএসপির তরফ থেকে। কিন্তু যতদিন যাচ্ছে বাস্তব চিত্র ততই উল্টো কথা বলছে। বলা যায়, দূরত্বের মাত্রা বেড়ে চলেছে দুপক্ষের মধ্যে।

আরও পড়ুন: বাংলাদেশের কোটা-আন্দোলনে লাঠি উঁচিয়ে যোগ দেওয়া নিউটন কাকদ্বীপেরও ভোটার! রয়েছে তৃণমূল-ঘনিষ্ঠতা

বর্তমানে কেরালা শাসন করছে সিপিআইএম নেতৃত্বাধীন লেফ্ট ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (এলডিএফ)। তবে হতবাক করে দেওয়ার মতো বিষয় এখানেই যে বাংলায় আরএসপি সিপিআইএমের শরিক দল হলেও কেরালায় তারা একে অপরের বড় শত্রু। সেই আঁচ পড়লো বাংলাতেও। পিএসইউর এক ছাত্রনেতা নিজের ফেসবুক থেকে গতকাল একটি পোস্ট করেন কেরল সরকারকে আক্রমণ করে এবং শেষে লেখা “স্বৈরাচারী সরকারের কালো হাত ভেঙে দাও গুড়িয়ে দাও”। এমন পোস্ট বাম সমর্থকদের মধ্যে ভাইরাল হতে বেশিক্ষণ সময় নেয়নি।

আরও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে কুরুচিকর মন্তব্য! কৌস্তভকে তলব আদালতের

এই ফেসবুক পোস্ট চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ার পরই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে বামেদের দ্বিচারিতা নিয়ে। অধিকাংশই এই প্রশ্ন তুলেছেন যে এমন পোষ্টের মাধ্যমে কি বার্তা দিতে চায় দল। অনেকে এটিকে দ্বিচারিতারও তকমা দিয়েছেন এবং দাবি করেছেন যে এমনটা চলতে থাকলে আগামী দিনে সংগঠন বলেই কিছু থাকবে না বামেদের। সবমিলিয়ে, দলের এমন করুণ অবস্থা চিন্তায় ফেলেছে দলের কর্মী থেকে শুরু করে সমর্থক, সকলকেই।

এই মুহূর্তে

আরও পড়ুন