Saturday, 18 October, 2025
18 October
HomeকলকাতাAbhishek Banerjee: ববির কপালে কি? ছাব্বিশের ভোটের আগেই তৃণমূলে ঝাঁকুনি দিতে বড়...

Abhishek Banerjee: ববির কপালে কি? ছাব্বিশের ভোটের আগেই তৃণমূলে ঝাঁকুনি দিতে বড় রদবদল পুরসভায়!

তৃণমূল সূত্রে বলা হচ্ছে, এ ব্যাপারে অভিষেক তাঁর পুরনো অবস্থানেই অনড়।

অনেক কম খরচে ভিডিও এডিটিং, ফটো এডিটিং, ব্যানার ডিজাইনিং, ওয়েবসাইট ডিজাইনিং এবং মার্কেটিং এর সমস্ত রকম সার্ভিস পান আমাদের থেকে। আমাদের (বঙ্গবার্তার) উদ্যোগ - BB Tech Support. যোগাযোগ - +91 9836137343.

২০২৪–এর লোকসভা নির্বাচনে কলকাতা পুরসভা–সহ রাজ্যের বিভিন্ন পুর এলাকায় বিজেপি ভালো ভোট পেয়েছে। তৃণমূলের কাউন্সিলার থাকা সত্ত্বেও বহু ওয়ার্ডে লিড নিয়েছে পদ্ম। কলকাতা পুরসভা–সহ রাজ্যের অধিকাংশ পুরসভায় তৃণমূলই ক্ষমতায় রয়েছে। পুরসভা স্তরে জোড়াফুলের এই আধিপত্য থাকা সত্ত্বেও লোকসভা নির্বাচনে গেরুয়া শিবিরের ‘সাফল্যে’র নেপথ্যে সংশ্লিষ্ট পুরসভার চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান, কাউন্সিলারদের একাংশের গা–ছাড়া মনোভাব, গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব, নিষ্ক্রিয়তা থেকে শুরু করে অন্তর্ঘাত দায়ী বলে উঠে এসেছে তৃণমূলের সর্বোচ্চ নেতৃত্বের বিশ্লেষণে। লোকসভা নির্বাচনে যে যে পুরসভায় এমন খারাপ পারফরম্যান্স হয়েছে, সেখানে আগামী কিছু দিনের মধ্যেই চেয়ারম্যান অথবা ভাইস চেয়ারম্যান পদে রদবদল করতে চলেছেন জোড়াফুল নেতৃত্ব।

আরও পড়ুনঃ ২৬- এর আগে তৃণমূলের ‘টার্গেট’ তরুণ ব্রিগেড! ‘আমি বাংলার ডিজিটাল যোদ্ধা!’ প্রচার অভিষেকের

অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় পুরসভা স্তরে দলের লোকসভা ভোটের ফলাফলের বিশ্লেষণের কাজ অনেক দিন ধরেই করছেন। তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আলোচনা করে আগামী দিনে রাজ্যের অনেক পুরসভায় চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান বদল করতে চলেছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। সূত্রের দাবি, কলকাতা পুরসভায় এখনই এই বদল হওয়ার সম্ভাবনা নেই। জোড়াফুল নেতৃত্বের একাংশের পর্যবেক্ষণ, কলকাতা–সহ বহু পুরসভায় ২০২৪–এর লোকসভা ভোটে প্রত্যাশিত ফলাফল না হওয়ার জন্য দলের কিছু নেতাই দায়ী।

পুরসভার চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান, কাউন্সিলাররা নিজেদের ভোটের সময়ে যে ভাবে মাটি কামড়ে লড়াই করেন, সেই লড়াই তাঁরা লোকসভা ভোটে করেননি। এই গা–ছাড়া মনোভাবের মাশুল গুনতে হবে এই নেতাদের। উল্লেখ্য, অভিষেক বৃহস্পতিবার এক্স হ্যান্ডল পোস্টে জানিয়েছেন, সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে তিনি এ দিন উৎসবের শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন। বিভিন্ন বিষয়ে খোলামেলা মতামতও জানিয়েছেন তিনি। অভিষেক ছাড়াও এই শুভেচ্ছা বিনিময়ের অনুষ্ঠানে ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা, স্নেহাশিস চক্রবর্তী, রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন, সাংসদ পার্থ ভৌমিক, সামিরুল ইসলামরা।

’২৬–এর বিধানসভা নির্বাচনের পরে কলকাতা পুরসভার ভোট হওয়ার কথা। সেই সময়ে কলকাতায় টিকিট বিতরণের ক্ষেত্রেও ২০২৪–এর লোকসভা ভোটের পারফরম্যান্স এবং ’২৬–এর বিধানসভা ভোটের ফলাফল মাথায় রাখা হতে পারে বলে তৃণমূল সূত্রের খবর। ২০২৩–এর ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময়ে প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে অভিষেক অভিনব উদ্যোগ নিয়েছিলেন। পঞ্চায়েত ভোটের আগে নব জোয়ার যাত্রা করেছিলেন তিনি। জনতা কাকে গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি, জেলা পরিষদের সদস্য হিসেবে দেখতে চাইছে— সেই মতামত নিতে ‍নব জোয়ার যাত্রার সময়ে ভোটাভুটির ব্যবস্থাও করা হয়েছিল স্থানীয় ভাবে।

তৃণমূলের ক্যাম্পে এসে অনেকেই কেমন মানুষকে প্রার্থী হিসেবে দেখতে চাইছেন, সে প্রসঙ্গে মতামত দিয়েছিলেন। কলকাতা পুরসভায় আগামী ভোটের আগে একই ভাবে কোনও ওয়ার্ডে মানুষ কাকে কাউন্সিলার হিসেবে দেখতে চাইছেন, জনতার কাছ থেকে সেই মতামত নেওয়া হতে পারে। তার ভিত্তিতে প্রার্থী বাছাই হতে পারে বলে তৃণমূল সূত্রের খবর। এই প্রার্থী বাছাইয়ের মাধ্যমে কলকাতায় যে কাউন্সিলাররা মানুষকে উপযুক্ত পরিষেবা দিতে পারছেন না, যাঁদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে, লোকসভা অথবা বিধানসভা ভোটে যে কাউন্সিলাররা ঢিলেমি করেছেন, তাঁদের ছেঁটে ফেলা হতে পারে বলে তৃণমূল সূত্রের খবর।

আরও পড়ুনঃ বালতি হাতে পথে বিমান বসু! মানুষের পাশে থাকার বার্তা

এই মুহূর্তে জোড়াফুলের সর্বোচ্চ নেতৃত্ব কলকাতাকে বাদ দিয়ে রাজ্যের অন্য পুরসভাগুলিতে এই পারফরম্যান্স ভিত্তিক রদবদল করতে চাইছেন। ২০২৪–এর ২১ জুলাইয়ের সভায় অভিষেক প্রথম বলেছিলেন, পারফরম্যান্সের নিরিখেই সাংগঠনিক পদাধিকারী থেকে জনপ্রতিনিধিদের বিচার করা হবে। পারফরম্যান্স যাঁদের খারাপ, তাঁদের বাদ পড়তে হবে। এই মাপকাঠিতেই গত কয়েক মাসে তৃণমূলের সাংগঠনিক জেলা সভাপতি ও চেয়ারম্যান পদে রদবদল হয়েছে। একই মাপকাঠিতে সাংগঠনিক ব্লক–টাউন স্তরে তৃণমূলের সভাপতি পদে অদলবদল করা হয়েছে।

একই ভাবে তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসি, মহিলা, যুব ও ছাত্র সংগঠনের জেলা স্তরেও বদল এসেছে। তৃণমূলের তিনটি শিক্ষক সংগঠন কিছু দিন আগে এই কারণে ভেঙে দেওয়া হয়েছে। সূত্রের খবর, ওয়েবকুপা, মাধ্যমিক এবং প্রাথমিক শিক্ষক সংগঠনে যাঁদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল, তাঁরা উপযুক্ত নন বলে তৃণমূলের সর্বোচ্চ নেতৃত্বের পর্যবেক্ষণ। সেই কারণে এই তিনটি সংগঠন ভেঙে দেওয়া হয়েছে। কিছু দিন পরে এই তিনটি সংগঠন পুনর্গঠিত হবে। এ ছাড়া যে সাংগঠনিক জেলাগুলির ব্লক–টাউন স্তরে রদবদল এখনও ঘোষিত হয়নি, তা দ্রুত ঘোষণা হতে চলেছে। উৎসব মিটে গেলে কলকাতার দু’টি সাংগঠনিক জেলার নেতাদের নিয়ে বৈঠক করতে পারেন অভিষেক।

এই মুহূর্তে

আরও পড়ুন