Tuesday, 17 June, 2025
17 June, 2025
HomeখেলাDerby 2024-25: দশে ‘নয়’! ডার্বি জয় মোহনবাগানের, লড়েও পারল না পেনাল্টি থেকে...

Derby 2024-25: দশে ‘নয়’! ডার্বি জয় মোহনবাগানের, লড়েও পারল না পেনাল্টি থেকে বঞ্চিত ১০ জনের লাল-হলুদ

অনেক কম খরচে ভিডিও এডিটিং, ফটো এডিটিং, ব্যানার ডিজাইনিং, ওয়েবসাইট ডিজাইনিং এবং মার্কেটিং এর সমস্ত রকম সার্ভিস পান আমাদের থেকে। আমাদের (বঙ্গবার্তার) উদ্যোগ - BB Tech Support. যোগাযোগ - +91 9836137343.

সৌরভ দত্ত, গুয়াহাটি:

ফিরতি ডার্বিতে ফল বদলালো না। মোহনবাগানের জয় আর ইস্টবেঙ্গলের হার। অতীতে ডার্বি মানে ছিল সমানে সমানে লড়াই আর বর্তমানে ডার্বি হয়ে গিয়েছে, মোহনবাগানের এগিয়ে থেকে নামা আর জিতে ফেরা। এখন ইস্টবেঙ্গল ডার্বি জিতলে সেটাকে অঘটন বলেন অনেকে। এবার চলতি বছর আইএসএলের দ্বিতীয় লেগের ডার্বিতে দেখা গেল সেই একই ছবি। ১-০ গোলে জিতল মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট।

শনিবার ম্যাচটা স্বপ্নের শুরু করেছিল মোহনবাগান। মাত্র ২ মিনিটে জেমি ম্যাকলারেনের গোলে এগিয়ে যায় মোহনবাগান। এই গোলের পিছনে যতটা না ম্যাকলারেনের কৃতিত্ব ছিল, তার থেকেও বেশি ব্যর্থতা ছিল ইস্টবেঙ্গল রক্ষণের। ম্যাচের ২ মিনিটের একটু আগে আশিস রাইয়ের একটি নির্বিষ পাস থেকে বল পেয়ে গোল করেন জেমি ম্যাকলারেন। ইস্টবেঙ্গল ডিফেন্সের প্লেয়াররা কেউ জায়গায় ছিলেন না। ফলে জেমি ম্যাকলারেনের পক্ষে গোল করাটা সহজ ছিল। বল পাওয়ার পর তাঁর সামনে ছিলেন শুধুমাত্র গোলকিপার প্রভসুখন সিং গিল। তাঁকে টপকে গোল করতে কোনও সমস্যাই হয়নি ম্যাকলারেনের। এই গোলটা করে তিনি আইএসএল ডার্বির ইতিহাসে দ্রুততম গোল করলেন।

আরও পড়ুন: Mohun Bagan: কামাখ্যা মন্দিরে পুজো দিলেন মোহনবাগান সমর্থকেরা

এই গোলের পর ৪ মিনিটে একটি গোলের সুযোগ পেয়েছিলেন মনবীর সিং। কিন্তু হিজাজি মাহের আটকে দেন। গোল খেয়েও মোহনবাগান তাদের গতি কমায়নি ম্যাচে। অন্যদিকে ইস্টবেঙ্গল মোহনবাগানের আক্রমণ সামলানোর জন্য ডিফেন্সে যতটা শক্তি দরকার ছিল সেটা দিতে পারেনি। তবে ইস্টবেঙ্গল কিছুটা আক্রমণের চেষ্টা করেছিল।

৬ মিনিটে পিভি বিষ্ণুর পাস থেকে বল পান ক্লেইটন সিলভা। তিনি গোল লক্ষ্য করে শটও নেন, কিন্তু টম আলড্রেড আটকে দেন। ২০ মিনিটে মোহনবাগান দুর্দান্ত সুযোগ পায়। তবে এই নিশ্চিত গোল আটকে দেন ইস্টবেঙ্গল গোলকিপার প্রভসুখন সিং গিল। কামিন্সের থেকে থ্রু বল পান মনবীর সিং, তাঁকে আটকাতে ছিলেন না কোনও ডিফেন্ডার। মনবীর গোল লক্ষ্য করে শট নেন, সেটা আটকে দেন গিল।

৩৬ মিনিটে ইস্টবেঙ্গলের জিকশন সিং আক্রমণে ওঠেন। তিনি বক্সের ভিতরে ডেভিডকে বল বাড়ান। কিন্তু টম আলড্রেড ও বিশাল কাইথের জুটি গোল আটকে দেয়। এটা গোল হতে পারত যদি ডেভিড আরও একটু সাপোর্ট পেতেন। কিন্তু টম আলড্রেড গতিতে পরাস্ত করেন ডেভিডকে। ৪৬ মিনিটে গোলের সুযোগ পায় ইস্টবেঙ্গল। বিষ্ণুর থেকে বল পান ক্লেইটন, কিন্তু বাইরে মারেন।

আরও পড়ুন: Siliguri: শিলিগুড়ি পুরসভার উদ্যোগে শুরু হলো উত্তরন ক্রীড়া প্রতিযোগিতা

এরপর আরও একটি সুযোগ পেয়েছিল লাল হলুদ। পিভি বিষ্ণু গোল লক্ষ্য করে শট নিলে সেটা আশিস রাইয়ের হাতে লাগে, লাল হলুদ পেনাল্টি চাইলেও দেননি রেফারি।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরুটা মোহনবাগান করে একই গতিতে। দলে পরিবর্তন করে তারা দিমিত্রি পেত্রাতোসকে নামায়। ম্যাচের ৬৩ মিনিটে প্রতি আক্রমণে ওঠে মোহনবাগান। কার্যত ফাঁকা ডিফেন্স পেয়ে লিস্টন কোলাসো আক্রমণে ওঠেন। বক্সের বাইরে তাঁকে ফাউল করে শৌভিক চক্রবর্তী। রেফারি হলুদ কার্ড দেখান, জোড়া হলুদ কার্ড দেখে তিনি মাঠ ছাড়েন। এরপর দুই দল একাধিক সুযোগ পেলেও কার্যকর হয়নি।

ম্যাচটা মোহনবাগান জিতলেও, ডার্বিতে যেই পারফরম্যান্স দুই দলের থেকে আশা করা হয়েছিল সেটা হয়নি। অনেকটাই নিষ্প্রভ দেখিয়েছে। দুই দল আক্রমণের চেষ্টা করলেও মাঝেমধ্যে ইতিউতি আক্রমণ ছাড়া বলার মতো কিছু হয়নি।

এই ম্যাচটা জয়ের ফলে পয়েন্ট তালিকায় শীর্ষেই রইল মোহনবাগান। অন্য ম্যাচে বেঙ্গালুরু এফসি হারার ফলে তাদের থেকে পয়েন্টের ব্যবধান আরও বাড়াল সবুজ মেরুন।

এই মুহূর্তে

আরও পড়ুন